ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বৈশাখ উৎসবেই সীমাবদ্ধ নয়, আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ । রোববার ( ১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শনিবার( ১৩ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, শুভ নববর্ষ- ১৪৩১ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন । আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন বছরের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। সেই সাথে দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে। ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিলো, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা । বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি ।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ধর্ম- বর্ণ- গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ- গান, শোভাযাত্রা, আনন্দ- উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি জাতি ।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য পরম গৌরব ও মর্যাদার । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ । সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদ্যাপন করেছিলেন ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায় ।

তিনি বলেন, সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক । ফেলে আসা বছরের সব শোক- দুঃখ- জরা দূর হোক, নতুন বছর সবার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি -এ প্রত্যাশা করি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘বৈশাখ উৎসবেই সীমাবদ্ধ নয়, আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ । রোববার ( ১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শনিবার( ১৩ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, শুভ নববর্ষ- ১৪৩১ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন । আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন বছরের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। সেই সাথে দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে। ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিলো, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা । বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি ।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ধর্ম- বর্ণ- গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ- গান, শোভাযাত্রা, আনন্দ- উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি জাতি ।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য পরম গৌরব ও মর্যাদার । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ । সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদ্যাপন করেছিলেন ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায় ।

তিনি বলেন, সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক । ফেলে আসা বছরের সব শোক- দুঃখ- জরা দূর হোক, নতুন বছর সবার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি -এ প্রত্যাশা করি ।