ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসরকারি মেডিক্যালে ভর্তিতে অটোমেশন বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতির ফলে বিপাকে পড়েছে দেশের সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০২০-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের ৬৭টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীর ছয় হাজার ২০৮টি আসন। এরমধ্যে ১২০০ আসন শূন্য রয়েছে। এর ফলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রাইভেট মেডিক্যালে কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২৫ মে) সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাচিপেরর সভাপতি অধ্যাপক জামালুদ্দিন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন, বিশ্ব ব্যাংকের সাউথ আফ্রিকার হেড অব এডুকেশন ড. মোখলেসুর রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম, বিপিএমসিএ’র সভাপতি এম. এ. মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন খান, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, পপুলার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল হক, মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিনিধি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. শাহ্ মো. সেলিম, আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আফিকুর রহমান, সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. রিফায়েতউল্লাহ শরীফ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস-চেয়ারম্যান সাইমুম সাইরাস, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম প্রমুখ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, কোয়ালিটি মেনটেইন না করলে কারোরই কাজ করা উচিৎ না। শিক্ষা পদ্ধতি ও হাসপাতাল পরিচালনায়ও কোয়ালিটি চাই।

এসময় তিনি আরও বলেন, অটোমেশন ব্যবস্থা পাকিস্তান আমলেও ছিলো। এই পদ্ধতিতে অনেকে ভর্তিতে সমস্যা বোধ করছে। অটোমেশনের কারণে আমিও ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারিনি। তবে অটোমেশনের জন্য শিক্ষার্থী আসছে না, এটা মনে হয় সঠিক নয়।

বিপিএমসিএ’র সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, সরকারের একার পক্ষে সবার চিকিৎসা-শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চিকিৎসা-শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি মেডিক্যাল চালু হাওয়ার পর সব সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তিতে পছন্দমতো মেডিক্যাল কলেজে মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পেয়ে আসছিলেন। আগের নিয়ম অনুযায়ী সারা দেশে একসাথে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এতে শিক্ষার্থীরা পছন্দমতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারতো। গত বছর ভর্তিতে পরিবর্তন আনা হয়। মেডিক্যাল শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের নামে সংশ্লিষ্টদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে গত বছর এই অটোমেশন চালু করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেসরকারি মেডিক্যালে ভর্তিতে অটোমেশন বাতিলের দাবি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতির ফলে বিপাকে পড়েছে দেশের সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০২০-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের ৬৭টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীর ছয় হাজার ২০৮টি আসন। এরমধ্যে ১২০০ আসন শূন্য রয়েছে। এর ফলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রাইভেট মেডিক্যালে কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২৫ মে) সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাচিপেরর সভাপতি অধ্যাপক জামালুদ্দিন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন, বিশ্ব ব্যাংকের সাউথ আফ্রিকার হেড অব এডুকেশন ড. মোখলেসুর রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম, বিপিএমসিএ’র সভাপতি এম. এ. মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন খান, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, পপুলার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল হক, মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিনিধি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. শাহ্ মো. সেলিম, আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আফিকুর রহমান, সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. রিফায়েতউল্লাহ শরীফ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস-চেয়ারম্যান সাইমুম সাইরাস, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম প্রমুখ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, কোয়ালিটি মেনটেইন না করলে কারোরই কাজ করা উচিৎ না। শিক্ষা পদ্ধতি ও হাসপাতাল পরিচালনায়ও কোয়ালিটি চাই।

এসময় তিনি আরও বলেন, অটোমেশন ব্যবস্থা পাকিস্তান আমলেও ছিলো। এই পদ্ধতিতে অনেকে ভর্তিতে সমস্যা বোধ করছে। অটোমেশনের কারণে আমিও ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারিনি। তবে অটোমেশনের জন্য শিক্ষার্থী আসছে না, এটা মনে হয় সঠিক নয়।

বিপিএমসিএ’র সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, সরকারের একার পক্ষে সবার চিকিৎসা-শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চিকিৎসা-শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি মেডিক্যাল চালু হাওয়ার পর সব সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তিতে পছন্দমতো মেডিক্যাল কলেজে মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পেয়ে আসছিলেন। আগের নিয়ম অনুযায়ী সারা দেশে একসাথে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এতে শিক্ষার্থীরা পছন্দমতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারতো। গত বছর ভর্তিতে পরিবর্তন আনা হয়। মেডিক্যাল শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের নামে সংশ্লিষ্টদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে গত বছর এই অটোমেশন চালু করা হয়।