বেনাপোল স্থলবন্দর চেয়ারম্যান ও পরিচালকের নামে মামলা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
বেনাপোল স্থলবন্দরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরীর নামে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে ও দৈনিক নওয়াপাড়ার বেনাপোল প্রতিনিধি সুমন হোসাইন।
বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক। বেনাপোল স্থলবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দেখতে যান। সেখানে গিয়ে ঢালাই কাজের ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তিনি ওই ভিডিও বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে অনিয়মের প্রতিকার চান। একই সাথে অনিয়মের বিষয়ে তার বক্তব্য চান। কিন্তু তিনি সংবাদ প্রকাশে নিষেধ করে বাদীকে বেনাপোল স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে দেখা করতে বলেন। এরপর তিনি গত ২৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে যান। সেখানে বিবাদী রেজাউল করিম ও জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে দেখতে পান। বাদী টার্মিনাল নির্মাণের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন করতে চাইলে হুমকি দিয়ে নিষেধ করেন। বাদী সংবাদ প্রকাশে অনঢ় থাকায় বিবাদীরা তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। তিনি মিথ্যা মামলা না করার অনুরোধ করেন। তখন বিবাদী রেজাউল করিম দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
আরেক বিবাদী জিল্লুর রহমান চৌধুরী হুমকি দেন টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে নিউজ করলে ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে তাকে খুন করবে। জিল্লুর রহমান চৌধুরী শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আপন জামাতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়েছে। চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলে কর্তৃপক্ষ আদালতে যাওয়ার হওয়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের সাবেক অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (বর্তমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত) রেজাউল করিম বলেন, সুমনের বিরুদ্ধে ব্লাকমেইল করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দেয়া আছে। এজন্য তিনি মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।