ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডে আগুন/ গ্যাস সিলিন্ডারের মজুদ থেকে আগুন ছড়ায় দ্রুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবনটিতে অনিরাপদভাবে প্রচুর গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে বাণিজ্যিক ভবনটি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ভবন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এদিকে, ৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।

বেইলে রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে রাত পৌনে ১০টায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ৯টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। একে একে যোগ দেয় ১৩টি ইউনিট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। মূহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। প্রথম দুই ঘণ্টা কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাত ১২টার পর থেকে আহত ব্যক্তিদের ভবন থেকে বের করে আনা হয়।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, পুরো ভবনে অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখা ছিল। এমনকি সিড়িতেও মজুত ছিল সিলিন্ডার। ফলে ভবনটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘দ্বিতীয় তলা ছাড়া প্রত্যেকটি তলায় ইভেন সিঁড়ি ঘরেও সিলিন্ডার ছিল। এটা বিপদজনক একটা ব্যাপার। আগুন লাগলে সিলিন্ডার কতটুকু বিস্ফোরিত হয়, কি হয় আপনারা জানেন। আমরা তল্লাসি করছি। এরপর আমরা নির্ধারণ করব ভবনটা কতটুকু নিরাপদ।’

ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভবন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকা এবং আশে পাশে এবং পেছনে কিন্তু আবাসিক এলাকাও আছে। ভবনটি সঠিকভাবে তৈরি করা হয়েছিল কিনা, কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটি দেখা হবে। একটি মামলা রমনা থানায় হবে। পুলিশ সেটি তদন্ত করবে।’

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ বেশকিছু জনপ্রিয় পোশাকের দোকানও রয়েছে।

ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনার পরপরই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, নিতদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১০ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলো কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অধিকাংশই নিহত হয়েছে শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ার কারণে। এ ছাড়া ধোয়ার কারণে শ্বাসরোধ হয়েওে অনেকে মারা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেইলি রোডে আগুন/ গ্যাস সিলিন্ডারের মজুদ থেকে আগুন ছড়ায় দ্রুত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবনটিতে অনিরাপদভাবে প্রচুর গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে বাণিজ্যিক ভবনটি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ভবন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এদিকে, ৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।

বেইলে রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে রাত পৌনে ১০টায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ৯টা ৫৬ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। একে একে যোগ দেয় ১৩টি ইউনিট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। মূহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। প্রথম দুই ঘণ্টা কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাত ১২টার পর থেকে আহত ব্যক্তিদের ভবন থেকে বের করে আনা হয়।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, পুরো ভবনে অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখা ছিল। এমনকি সিড়িতেও মজুত ছিল সিলিন্ডার। ফলে ভবনটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘দ্বিতীয় তলা ছাড়া প্রত্যেকটি তলায় ইভেন সিঁড়ি ঘরেও সিলিন্ডার ছিল। এটা বিপদজনক একটা ব্যাপার। আগুন লাগলে সিলিন্ডার কতটুকু বিস্ফোরিত হয়, কি হয় আপনারা জানেন। আমরা তল্লাসি করছি। এরপর আমরা নির্ধারণ করব ভবনটা কতটুকু নিরাপদ।’

ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভবন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকা এবং আশে পাশে এবং পেছনে কিন্তু আবাসিক এলাকাও আছে। ভবনটি সঠিকভাবে তৈরি করা হয়েছিল কিনা, কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটি দেখা হবে। একটি মামলা রমনা থানায় হবে। পুলিশ সেটি তদন্ত করবে।’

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ বেশকিছু জনপ্রিয় পোশাকের দোকানও রয়েছে।

ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনার পরপরই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, নিতদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১০ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলো কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অধিকাংশই নিহত হয়েছে শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ার কারণে। এ ছাড়া ধোয়ার কারণে শ্বাসরোধ হয়েওে অনেকে মারা গেছে।