ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃদ্ধকে হত্যার পর ১১ টুকরো করলো স্ত্রী-সন্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে অরুণ মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরো করে তার স্ত্রী ও মেয়ে। এরপর নয়টি পলিথিনে মুড়িয়ে লাশ ফেলে দেয়া হয় পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে।

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ লাশের ১১ টুকরো ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ‘টাঁকশাল’ ও শাবল উদ্ধার করেছে।
গ্রেপ্তার করা হয়েছে অরুণ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫০) ও মেয়ে লাকী আক্তার (২৭)কে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফুর রহমান রুবেল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের সুরুজ বেপারির ছেলে অরুণ মিয়া দুই বিয়ে করেন। এর মধ্যে আর্থিকসহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনার সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়।এরই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।


তিনি আরো জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণ মিয়া। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি সেপটিক ট্যাংকে নয়টি পলিথিনে মুড়ানো অবস্থায় লাশের ১১ টুকরা পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রথমে অরুণ মিয়ার মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়।এতে তিনি প্রাণ হারান। এরপরই মা ও মেয়ে মিলে অরুণ মিয়ার লাশ একটি টাঁকশাল দিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লোকজন পাশের মনির মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে দুর্গন্ধ বের হলে সেখানে পলিথিন দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা নয়টি পলিথিনে মুড়ানো ১১ টুকরা লাশ উদ্ধার করে। ছেলে এসে অরুণের লাশ শনাক্ত করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অরুণ মিয়ার স্ত্রী মোমেনা ও মেয়ে লাকীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জয়নাল আবেদীন, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বৃদ্ধকে হত্যার পর ১১ টুকরো করলো স্ত্রী-সন্তান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে অরুণ মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরো করে তার স্ত্রী ও মেয়ে। এরপর নয়টি পলিথিনে মুড়িয়ে লাশ ফেলে দেয়া হয় পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে।

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ লাশের ১১ টুকরো ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ‘টাঁকশাল’ ও শাবল উদ্ধার করেছে।
গ্রেপ্তার করা হয়েছে অরুণ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫০) ও মেয়ে লাকী আক্তার (২৭)কে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফুর রহমান রুবেল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের সুরুজ বেপারির ছেলে অরুণ মিয়া দুই বিয়ে করেন। এর মধ্যে আর্থিকসহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনার সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়।এরই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।


তিনি আরো জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণ মিয়া। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি সেপটিক ট্যাংকে নয়টি পলিথিনে মুড়ানো অবস্থায় লাশের ১১ টুকরা পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রথমে অরুণ মিয়ার মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়।এতে তিনি প্রাণ হারান। এরপরই মা ও মেয়ে মিলে অরুণ মিয়ার লাশ একটি টাঁকশাল দিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় লোকজন পাশের মনির মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে দুর্গন্ধ বের হলে সেখানে পলিথিন দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা নয়টি পলিথিনে মুড়ানো ১১ টুকরা লাশ উদ্ধার করে। ছেলে এসে অরুণের লাশ শনাক্ত করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অরুণ মিয়ার স্ত্রী মোমেনা ও মেয়ে লাকীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জয়নাল আবেদীন, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পুলিশ কর্মকর্তারা।