বিনা চিকিৎসায় ঢামেকে মৃত্যু, বিচার দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্তর বিনা চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যুর বিচার ও তার বন্ধুদের নামে সাঁজানো মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাইবান্ধাবাসীর ব্যানারে ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার ) জেলার গানাসাস মার্কেটের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত দীপ্তর বন্ধু, সহপাঠী ও স্বজনসহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা শহরের মহুরীপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম মাজুর ছেলে আহসানুল ইসলাম দীপ্ত গত ৩০ আগস্ট ঢাকার কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। দুর্ঘটনার পর তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন দুর্বৃত্তরা হাতিয়ে নেয়। পরে নিলয় নামে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বন্ধে একটি অস্ত্রোপচার ও আইসিইউ এর জন্য সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু আইসিইউ বেড বাবদ ৭ হাজার ৫০ টাকা দাবি করেন ওয়ার্ডবয় ও কর্মচারীরা।
দীপ্তর স্বজনরা না থাকায় টাকা না পাওয়ায় তাকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে জরুরি বিভাগের মেঝেতে ৯ ঘন্টা ফেলে রাখা হয়। পরের দিন শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দুপুর নাগাদ দীপ্তর বন্ধু সঞ্জয় পাল জয়সহ অন্য বন্ধুরা হাসপাতালে আসেন এবং বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে। ওইদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুটি মৃত্যুর ঘটনায় হামলা ও ভাংচুর হয়।
বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার বন্ধুদের মামলায় জড়ানো হয়, এমনকি কাতার প্রবাসী বন্ধুকেও আসামি করা হয় বলে মানববন্ধনে বলেন বক্তারা। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিহত দীপ্তর ছোট বোন মার্জিয়া তার আবেগ ধরে রাখতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে ছাড়া থাকবো কীভাবে? ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের চরম অবহেলায় আমার ভাই দীপ্তর মৃত্যু হয়েছে। আমি এই মৃত্যুর বিচার চাই। ভাইয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার বন্ধুদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত জয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করি।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দীপ্তর বাবা শহীদুল ইসলাম মাজু, ভাই শাওন ইসলাম, বন্ধু তামজিদ রায়হান শিথিল, আব্দুল্লাহ সানি, রাশেদ স্বর্ণ বাবু, সামিউল ইসলাম নিবির প্রমুখ।