ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয়নগরে ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির টার্গেট

মেহেদী হাসান মিলন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভালো ফলন হয়েছে লিচুর। আর দামও ভালো। তবে ফলন ভালো হলেও লিচুর আকার একটু ছোট।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গরমের জন্য কিছু বাগানের লিচু আকারে ছোট হয়েছে, তবে যাদের বাগানে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে তাদের বাগানের লিচুর সাইজ ঠিক আছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি বছর বিজয়নগর উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জায়গায় লিচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৯০০টির মতো বাগান রয়েছে। এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি করা যাবে বলে ধারনা করছেন তারা।

ভারতীয় সীমান্তঘেষা উপজেলা বিজয়নগর। এখানকার লাল মাটি লিচু চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বিজয়নগরের লিচুর কদরও দেশজুড়ে।

জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে লিচুর চাষ করা হয়। ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারের লিচুর দাম ভালো পাওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাগান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাশিমপুর,কাঞ্চনপুর, ভিটিদাউপুর, আদমপুর, কাশিনগর, কালাছড়া, সিঙ্গারবিল, গোয়ালনগর, মেরাশানী, সেজামুড়া, হরষপুর, মুকুন্দপুর, কচুয়ামুড়া, কামালমুড়া, নোয়াগাঁও, অলিপুর, বক্তারমুড়া, রূপা, ছতুরপুর, শান্তামুড়া, কামালপুর, পত্তন, এলাকায় লিচুর বাগান রয়েছে। এছাড়াও যাদের বাড়িতে একটু জায়গা আছে, তারাও প্রত্যেক লিচুর গাছ লাগান। এসব গাছে পাটনাই, বোম্বে, চায়না থ্রি, চায়না-২ ও এলাচি জাতীয় লিচুর ফলন হয়।

আউলিয়া বাজার উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও সিঙ্গারবিল, হরষপুর, চম্পকনগর বাজারে বিক্রি হয় অধিকাংশ লিচু। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, কুমিল্লা, ভৈরব, নোয়াখালী,মৌলভীবাজার, সিলেট, চাঁদপুর, হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কিশোরগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে লিচু কিনে নিয়ে যান।

বিজয়নগর উপজেলার কচুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইকবাল হুসাইন টিটু বলেন, তার দু’টি বাগানে ৪৩টি লিচু গাছ রয়েছে। চলতি বছর খড়া ও অনাবৃষ্টির কারনে লিচুর আকারে একটু ছোট হয়েছে। এ বছর তিনি তিন লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেজামুড়া গ্রামের বাগান মালিক মোঃ আসাদ ভূইয়া বলেন, তার ছয়টি বাগানে ১২৪টি লিচু গাছ রয়েছে। গাছে চলতি বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু গরমের কারণে লিচু একটু ছোট হয়েছে। তবে এই ছোট হওয়াতে আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি। আমি আশাবাদী ১০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবো।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বাংলা টাইমসকে বলেন, উপজেলায় চলতি বছর ৪৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলায় ৯০০ লিচুর বাগান রয়েছে। এ বছর প্রায় ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাগান মালিকেদের সব সময় প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। তবে জনবলের অভাবে বাগান মালিকদের পর্যাপ্ত সহযোগীতা দেয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিজয়নগরে ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির টার্গেট

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভালো ফলন হয়েছে লিচুর। আর দামও ভালো। তবে ফলন ভালো হলেও লিচুর আকার একটু ছোট।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গরমের জন্য কিছু বাগানের লিচু আকারে ছোট হয়েছে, তবে যাদের বাগানে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে তাদের বাগানের লিচুর সাইজ ঠিক আছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি বছর বিজয়নগর উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জায়গায় লিচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৯০০টির মতো বাগান রয়েছে। এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি করা যাবে বলে ধারনা করছেন তারা।

ভারতীয় সীমান্তঘেষা উপজেলা বিজয়নগর। এখানকার লাল মাটি লিচু চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বিজয়নগরের লিচুর কদরও দেশজুড়ে।

জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে লিচুর চাষ করা হয়। ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারের লিচুর দাম ভালো পাওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাগান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাশিমপুর,কাঞ্চনপুর, ভিটিদাউপুর, আদমপুর, কাশিনগর, কালাছড়া, সিঙ্গারবিল, গোয়ালনগর, মেরাশানী, সেজামুড়া, হরষপুর, মুকুন্দপুর, কচুয়ামুড়া, কামালমুড়া, নোয়াগাঁও, অলিপুর, বক্তারমুড়া, রূপা, ছতুরপুর, শান্তামুড়া, কামালপুর, পত্তন, এলাকায় লিচুর বাগান রয়েছে। এছাড়াও যাদের বাড়িতে একটু জায়গা আছে, তারাও প্রত্যেক লিচুর গাছ লাগান। এসব গাছে পাটনাই, বোম্বে, চায়না থ্রি, চায়না-২ ও এলাচি জাতীয় লিচুর ফলন হয়।

আউলিয়া বাজার উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও সিঙ্গারবিল, হরষপুর, চম্পকনগর বাজারে বিক্রি হয় অধিকাংশ লিচু। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, কুমিল্লা, ভৈরব, নোয়াখালী,মৌলভীবাজার, সিলেট, চাঁদপুর, হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কিশোরগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে লিচু কিনে নিয়ে যান।

বিজয়নগর উপজেলার কচুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইকবাল হুসাইন টিটু বলেন, তার দু’টি বাগানে ৪৩টি লিচু গাছ রয়েছে। চলতি বছর খড়া ও অনাবৃষ্টির কারনে লিচুর আকারে একটু ছোট হয়েছে। এ বছর তিনি তিন লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেজামুড়া গ্রামের বাগান মালিক মোঃ আসাদ ভূইয়া বলেন, তার ছয়টি বাগানে ১২৪টি লিচু গাছ রয়েছে। গাছে চলতি বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু গরমের কারণে লিচু একটু ছোট হয়েছে। তবে এই ছোট হওয়াতে আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি। আমি আশাবাদী ১০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবো।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বাংলা টাইমসকে বলেন, উপজেলায় চলতি বছর ৪৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলায় ৯০০ লিচুর বাগান রয়েছে। এ বছর প্রায় ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাগান মালিকেদের সব সময় প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। তবে জনবলের অভাবে বাগান মালিকদের পর্যাপ্ত সহযোগীতা দেয়া যায়নি।