বিকল সিগন্যালের কারণেই ট্রেন দুর্ঘটনা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
ভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাঙাপানি ও ছত্তরহাটের মধ্য়ে যে সিগন্যাল সিস্টেম ছিল তা সোমবার (১৭ জুন) ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে ত্রুটিপূর্ণ ছিল। দেশটির রেলওয়ে সূত্রের বরাত দিয়ে এই কথা জানিয়েছে পিটিআই।
এদিকে, রেলসূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশন ছেড়েছিলো সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে। এরপর রানীপাত্র আর ছত্তরহাটের মাঝে সেটা দাঁড়িয়ে যায়। সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে সিগন্যালিংয়ের সমস্যার জন্য ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়েছিলো।
অপর এক রেল কর্মকর্তার মতে, স্বয়ংক্রিয় সিগন্য়ালিং সিস্টেম ব্যর্থ হওয়ার জেরে স্টেশন মাস্টার একটা লিখিত কাগজ দেয়। এটা সাধারণ টিএ ৯১২ বলে পরিচিত। এ কাগজ থাকার জেরে ওই জোনে যতো লাল সিগন্যাল রয়েছে সেটা পেরিয়ে যেতে পারেন চালক। কারণ সেখানে সিগন্যালের সমস্যা রয়েছে। ওই সোর্স জানিয়েছেন, স্টেশন মাস্টার টিএ ৯১২ ইস্যু করেছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে।
তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় একটি পণ্যবাহী গাড়ি GFCJ রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে ৮টা ৪২ মিনিটে। এরপর সেটা কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছনে ধাক্কা দেয়। এ কারণে একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
রেলবোর্ডের চেয়ারপার্সন কার্যত হিউম্যান এরর অর্থাৎ মানুষই ভুল করেছেন এই ধরনের বিষয়কে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে প্রাথমিকভাবে তুলে ধরেছিলেন। অর্থাৎ মালগাড়ির চালকই সিগন্যাল না দেখে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, মালগাড়ির চালককেও এই টিএ ৯১২ ইস্যু করা হয়েছিলো কি না সেটা দেখা হবে। তবে তিনি সিগন্যাল না মেনেই চালাচ্ছিলেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। আর দ্বিতীয়টা যদি তিনি করেই থাকেন তবে তার উচিত ছিলো প্রতি সিগন্যালে এক মিনিট করে ট্রেনটি থামানো। আর ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চালানো।
দুর্ঘটনার জন্য চালককে দায়ী করে রেলের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে লোকো পাইলটদের সংগঠন।