ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে প্রবাসীর বসত বাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ

বাগেরহাট অফিস
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের শরণখোলায় আমড়াগাছিয়া এলাকায় প্রবাসীর বসতবাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ধানসাগর ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আব্দুর ছত্তার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। জমি দখল হয়ে যাওয়ায় নিজ গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে থাকছেন ওই প্রবাসী। মঙ্গলবার (৩) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন প্রবাসী আব্দুল লতিফ শরিফ।তিনি শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম শরিফের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল লতিফ শরিফ বলেন, আমড়াগাছিয়া গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে পাপ্ত ৪ একর ৩০ শতক জায়গার উপর বসতঘর নির্মানসহ মৎস্য ঘের করে ১৯৮৫ সাল থেকে বসবাস করে আসছি। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে স্থানীয় প্রভাবশালী দফাদার আব্দুর ছত্তার ও নুরুল হক সরদার আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু করে। এর কিছুদিন পরে ১ মার্চ সন্ধ্যায় আব্দুর ছত্তার, নুরুল হক সরদার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান স্বপনসহ তাদের লোকজন জোর পূর্বক আমাদের বসত ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। তখন স্থানীয় ১ নং ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়। বিষয়টি শরনখোলা থানায় জানালেও কোন অভিযোগ গ্রহন করেনি। পরে র‌্যাব-৬, খুলনার অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। পরে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে শরনখোলা থানা পুলিশ বসত ঘরের তালা খুলে দেয়।

তিনি বলেন, কিছু দিন যেতে না যেতেই ১৫ মার্চ ২০১৭ সালে হঠাৎ বিকালে আব্দুর ছত্তার ও নুরুল হক সরদাররা ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে আমার বাড়ির চার পাশ ঘিরে ফেলে। তারা আমাকে, আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে টেনে হেচড়ে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং মারধর করে। এক পর্যায়ে বাড়িতে থাকলে প্রানে মেরে ফেলবে বলে সন্ত্রাসীরা হুমকি প্রদান করে। আমরা প্রানের ভয়ে পার্শ্ববর্তী মালসায় পরিবার নিয়ে আশ্রয় গ্রহন করি। তারা আমাদের ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র, স্বর্নালংকার, নগদ টাকাসহ সকল মালামাল লুট করে এবং ৩ একর ঘের থেকে চিংড়ি ও সাদা মাছ আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকাসহ সর্বমোট ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।

এরপর থেকে আর বাড়ি যেতে পারিনি। ৮ বছর প্রবাসে (সৌদি আরব) থেকে অল্প অল্প করে যা কিছু উপার্জন করেছি সব কিছুই তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি কোথাও কোন প্রতিকার পাইনি। তাদের ভয়ে আমরা ঠিক ভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারিনি। এখনও তারা আমাদের জমিটি দখলে রেখেছে। আমি এই জমি ফেরত চাই। শেষ বয়সে ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাপের ভিটায় থাকতে চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে এই বৃদ্ধ।

এদিকে, ওই প্রবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে দফাদার আব্দুর ছত্তার বলেন, আমরা কারও জমি দখল করিনি। নুরুল হক সরদার ও আমাদের এই জমির কাগজপত্র রয়েছে। আব্দুল লতিফ শরীফ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে প্রবাসীর বসত বাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের শরণখোলায় আমড়াগাছিয়া এলাকায় প্রবাসীর বসতবাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ধানসাগর ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আব্দুর ছত্তার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। জমি দখল হয়ে যাওয়ায় নিজ গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে থাকছেন ওই প্রবাসী। মঙ্গলবার (৩) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন প্রবাসী আব্দুল লতিফ শরিফ।তিনি শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম শরিফের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল লতিফ শরিফ বলেন, আমড়াগাছিয়া গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে পাপ্ত ৪ একর ৩০ শতক জায়গার উপর বসতঘর নির্মানসহ মৎস্য ঘের করে ১৯৮৫ সাল থেকে বসবাস করে আসছি। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে স্থানীয় প্রভাবশালী দফাদার আব্দুর ছত্তার ও নুরুল হক সরদার আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু করে। এর কিছুদিন পরে ১ মার্চ সন্ধ্যায় আব্দুর ছত্তার, নুরুল হক সরদার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান স্বপনসহ তাদের লোকজন জোর পূর্বক আমাদের বসত ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। তখন স্থানীয় ১ নং ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়। বিষয়টি শরনখোলা থানায় জানালেও কোন অভিযোগ গ্রহন করেনি। পরে র‌্যাব-৬, খুলনার অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। পরে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে শরনখোলা থানা পুলিশ বসত ঘরের তালা খুলে দেয়।

তিনি বলেন, কিছু দিন যেতে না যেতেই ১৫ মার্চ ২০১৭ সালে হঠাৎ বিকালে আব্দুর ছত্তার ও নুরুল হক সরদাররা ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে আমার বাড়ির চার পাশ ঘিরে ফেলে। তারা আমাকে, আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে টেনে হেচড়ে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং মারধর করে। এক পর্যায়ে বাড়িতে থাকলে প্রানে মেরে ফেলবে বলে সন্ত্রাসীরা হুমকি প্রদান করে। আমরা প্রানের ভয়ে পার্শ্ববর্তী মালসায় পরিবার নিয়ে আশ্রয় গ্রহন করি। তারা আমাদের ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র, স্বর্নালংকার, নগদ টাকাসহ সকল মালামাল লুট করে এবং ৩ একর ঘের থেকে চিংড়ি ও সাদা মাছ আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকাসহ সর্বমোট ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।

এরপর থেকে আর বাড়ি যেতে পারিনি। ৮ বছর প্রবাসে (সৌদি আরব) থেকে অল্প অল্প করে যা কিছু উপার্জন করেছি সব কিছুই তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি কোথাও কোন প্রতিকার পাইনি। তাদের ভয়ে আমরা ঠিক ভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারিনি। এখনও তারা আমাদের জমিটি দখলে রেখেছে। আমি এই জমি ফেরত চাই। শেষ বয়সে ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাপের ভিটায় থাকতে চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে এই বৃদ্ধ।

এদিকে, ওই প্রবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে দফাদার আব্দুর ছত্তার বলেন, আমরা কারও জমি দখল করিনি। নুরুল হক সরদার ও আমাদের এই জমির কাগজপত্র রয়েছে। আব্দুল লতিফ শরীফ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।