ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামপুরে দশানী নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার

বসতভিটা হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয়

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ডাকপাড়া ও চন্দনপুর গ্রামের দশানী নদীর ভাঙনে প্রতিনিয়তই বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট, ফসলিজমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। গত ৩ বছর থেকে নদী ভাঙ্গনের ফলে শতাধিক ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছ। বসতভিটা হারানো এসব মানুষ এখন গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মান দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর।

বসতবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যাপক ভাঙ্গনের ফলে প্রায় বিশটি বাড়ীসহ কয়েক শত শত একর ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতিনিয়ত নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে।

আসাদুল হক দুলাল, গোলাপ সরকার, আঃ রহিম, আশরাফুল ইসলাম, লাল মিয়া,হাজী আব্দুল হাই, নুরনবী মিয়া, ছবুরন বেগম,আকলিমা বেগম বলেন, গত তিন বছর থেকে দুই শতাধিক বাড়িঘর,মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছে। এভাবে চলতে থাকলে ডাকপাড়া, নতুন শাহ পাড়া, মালপাড়া, মরাবন,আর্দশ গ্রাম, চন্দনপুর, টুংরাপাড়া, নতুন শাহ পাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে।

ভাঙন রোধে এলাকাবাসী স্থায়ী বাঁধ নির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি’র সুদৃষ্টি কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইসলামপুরে দশানী নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার

বসতভিটা হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ডাকপাড়া ও চন্দনপুর গ্রামের দশানী নদীর ভাঙনে প্রতিনিয়তই বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট, ফসলিজমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। গত ৩ বছর থেকে নদী ভাঙ্গনের ফলে শতাধিক ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছ। বসতভিটা হারানো এসব মানুষ এখন গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মান দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর।

বসতবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যাপক ভাঙ্গনের ফলে প্রায় বিশটি বাড়ীসহ কয়েক শত শত একর ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতিনিয়ত নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে।

আসাদুল হক দুলাল, গোলাপ সরকার, আঃ রহিম, আশরাফুল ইসলাম, লাল মিয়া,হাজী আব্দুল হাই, নুরনবী মিয়া, ছবুরন বেগম,আকলিমা বেগম বলেন, গত তিন বছর থেকে দুই শতাধিক বাড়িঘর,মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছে। এভাবে চলতে থাকলে ডাকপাড়া, নতুন শাহ পাড়া, মালপাড়া, মরাবন,আর্দশ গ্রাম, চন্দনপুর, টুংরাপাড়া, নতুন শাহ পাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে।

ভাঙন রোধে এলাকাবাসী স্থায়ী বাঁধ নির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি’র সুদৃষ্টি কামনা করেন।