ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, হতাশা অপেক্ষায় থাকা কর্মীরা

দেবব্রত দত্ত
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগের ঘোষণা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (৩১ মে) এর পর থেকে আর কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে অপেক্ষায় থাকা কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। তাইসময় বৃদ্ধি না হলে মালয়েশিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে ৪০ হাজার কর্মীর।

আরও পড়ুন : দাম বাড়লো জ্বালানি তেলের

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের দু’টি আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রায় বিশ হাজার বাংলাদেশি কর্মী পৌঁছে ফ্লোরে অবস্থান করছে। শেষ মুহূর্তে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের। নিজেদের কর্মী শনাক্তে ভোগান্তিতে পড়ছেন নিয়োগকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দৈনিক বিদেশি কর্মীদের আগমন হয় ৫০০ থেকে এক হাজার মধ্যে। ২২ মে থেকে আগমনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হয়েছে। এছাড়া অভিবাসন কর্মকর্তার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : http://‘রেমালে’র তাণ্ডবে সুন্দরবন থেকে ৯৬টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার

জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার কর্মীর বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু হয়েছে। কর্মী প্রবেশের সময় মাত্র একদিন বাকি থাকায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু কর্মীরা উল্টো পথে কাতার, দুবাই, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর হয়ে দেশটিতে ঢুকছে।

অনেকে অভিযোগ করেছেন, বিমানের টিকিটের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়ার ৩০ হাজার টাকার ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম ৯৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৮ হাজার টাকা বিক্রি করছে। অঅর হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে যে দেখে মনে হয় এসব দেখার কেউ নেই।

আরও পড়ুন : মাংসের টুকরাগুলো এমপি আনারের বলে ধারণা, জানালেন ডিবি প্রধান

জানা গেছে, নির্ধারিত ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এফডব্লিউ সিএমএস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ৩১ মে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা। এক প্রবাসী বলেন, সিন্ডিকেট চক্রের অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে শুক্রবার (৩১ মে) এর পর থেকে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে।

বায়রা’ যুগ্ম মহাসচিব মো. ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেছেন, প্রায় দশ লাখ কর্মীর মেডিকেল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে প্রবেশের সময় বৃদ্ধি না হলে প্রায় বিশ হাজার থেকে ৩০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া গমনে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্মীরা শোষণের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশি কর্মীরা অস্থিতিশীল ও অসম্মানজনক অবস্থায় সেখানে রয়েছে।

মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইট টাইমস জানায়, আগামী ১ জুন থেকে বর্তমান কোটার অধীনে নতুন কোনো শ্রমিক নেওয়া হবে না। এমনটাই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দীন নাসুশন ইসমাইল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, হতাশা অপেক্ষায় থাকা কর্মীরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

আগের ঘোষণা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (৩১ মে) এর পর থেকে আর কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে অপেক্ষায় থাকা কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। তাইসময় বৃদ্ধি না হলে মালয়েশিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে ৪০ হাজার কর্মীর।

আরও পড়ুন : দাম বাড়লো জ্বালানি তেলের

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের দু’টি আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রায় বিশ হাজার বাংলাদেশি কর্মী পৌঁছে ফ্লোরে অবস্থান করছে। শেষ মুহূর্তে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের। নিজেদের কর্মী শনাক্তে ভোগান্তিতে পড়ছেন নিয়োগকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দৈনিক বিদেশি কর্মীদের আগমন হয় ৫০০ থেকে এক হাজার মধ্যে। ২২ মে থেকে আগমনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হয়েছে। এছাড়া অভিবাসন কর্মকর্তার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : http://‘রেমালে’র তাণ্ডবে সুন্দরবন থেকে ৯৬টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার

জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার কর্মীর বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু হয়েছে। কর্মী প্রবেশের সময় মাত্র একদিন বাকি থাকায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু কর্মীরা উল্টো পথে কাতার, দুবাই, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর হয়ে দেশটিতে ঢুকছে।

অনেকে অভিযোগ করেছেন, বিমানের টিকিটের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়ার ৩০ হাজার টাকার ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম ৯৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৮ হাজার টাকা বিক্রি করছে। অঅর হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে যে দেখে মনে হয় এসব দেখার কেউ নেই।

আরও পড়ুন : মাংসের টুকরাগুলো এমপি আনারের বলে ধারণা, জানালেন ডিবি প্রধান

জানা গেছে, নির্ধারিত ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এফডব্লিউ সিএমএস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ৩১ মে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা। এক প্রবাসী বলেন, সিন্ডিকেট চক্রের অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে শুক্রবার (৩১ মে) এর পর থেকে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে।

বায়রা’ যুগ্ম মহাসচিব মো. ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেছেন, প্রায় দশ লাখ কর্মীর মেডিকেল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে প্রবেশের সময় বৃদ্ধি না হলে প্রায় বিশ হাজার থেকে ৩০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া গমনে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্মীরা শোষণের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশি কর্মীরা অস্থিতিশীল ও অসম্মানজনক অবস্থায় সেখানে রয়েছে।

মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইট টাইমস জানায়, আগামী ১ জুন থেকে বর্তমান কোটার অধীনে নতুন কোনো শ্রমিক নেওয়া হবে না। এমনটাই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দীন নাসুশন ইসমাইল।