ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদলি হতে পারবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন। তবে চাকরিজীবনে শুধুমাত্র একবারের জন্য এই বদলি হতে পারবেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরাই কেবল এই সুযোগ পাবেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলি নীতিমালা, ২০২৪-এ এসব বিধান আছে। এই নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। চলতি বছরের ৩১ জুলাই নীতিমালায় স্বাক্ষর করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার তাদের বদলির জন্য নীতিমালা করেছে। এখন থেকে শিক্ষকরা সম পদে পারস্পরিক বদলি হতে পারবেন।

তবে বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম এই নীতিমালা অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।

বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি। আর বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন সাড়ে পাঁচ লাখের মতো।

২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিতো এনটিআরসিএ। এর ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি শিক্ষক নিয়োগ দিতো। তবে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে এনটিআরসিএ সনদ দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশও করছে। এ পর্যন্ত ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।

বদলি নীতিমালায় রয়েছে, শুধু সম পদে কর্মরত দু’জন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পরিক বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে। তবে নিজ জেলা ছাড়া অন্য জেলায় বদলির আবেদন করা যাবে না। নারী আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগপ্রাপ্তির দু’বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে। বদলি কর্তৃপক্ষ হিসেবে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন মাউশির মহাপরিচালক।

নীতিমালায় রয়েছে, প্রতি বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনে পারস্পরিক বদলির আবেদন নেয়া হবে। বদলির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। একই সাথে শিক্ষকের ইনডেক্সও অনলাইনে নতুন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হবে। অনলাইনে পাওয়া আবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে নিষ্পত্তি করতে হবে। বদলি হওয়া শিক্ষকদের এমপিও ও অন্য সুবিধাদি এবং জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতা আগের অনুযায়ী বজায় থাকবে।

নীতিমালায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বদলির আবেদন অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না। বদলির আদেশ জারির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি হওয়া শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন। অবমুক্ত হওয়ার ৫ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষককে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।

এই নীতিমালা অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম। ফোরামের আহ্বায়ক মো. সান্ত আলী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলির বিধান শিক্ষকদের কোন উপকারে আসবে না। এ নীতিমালা অবিলম্বে সংশোধন করে শূন্য পদের ভিত্তিতে বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বদলি হতে পারবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন। তবে চাকরিজীবনে শুধুমাত্র একবারের জন্য এই বদলি হতে পারবেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরাই কেবল এই সুযোগ পাবেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলি নীতিমালা, ২০২৪-এ এসব বিধান আছে। এই নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। চলতি বছরের ৩১ জুলাই নীতিমালায় স্বাক্ষর করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার তাদের বদলির জন্য নীতিমালা করেছে। এখন থেকে শিক্ষকরা সম পদে পারস্পরিক বদলি হতে পারবেন।

তবে বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম এই নীতিমালা অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।

বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি। আর বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন সাড়ে পাঁচ লাখের মতো।

২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিতো এনটিআরসিএ। এর ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি শিক্ষক নিয়োগ দিতো। তবে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে এনটিআরসিএ সনদ দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশও করছে। এ পর্যন্ত ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।

বদলি নীতিমালায় রয়েছে, শুধু সম পদে কর্মরত দু’জন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পরিক বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে। তবে নিজ জেলা ছাড়া অন্য জেলায় বদলির আবেদন করা যাবে না। নারী আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগপ্রাপ্তির দু’বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে। বদলি কর্তৃপক্ষ হিসেবে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন মাউশির মহাপরিচালক।

নীতিমালায় রয়েছে, প্রতি বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনে পারস্পরিক বদলির আবেদন নেয়া হবে। বদলির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। একই সাথে শিক্ষকের ইনডেক্সও অনলাইনে নতুন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হবে। অনলাইনে পাওয়া আবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে নিষ্পত্তি করতে হবে। বদলি হওয়া শিক্ষকদের এমপিও ও অন্য সুবিধাদি এবং জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতা আগের অনুযায়ী বজায় থাকবে।

নীতিমালায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বদলির আবেদন অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না। বদলির আদেশ জারির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি হওয়া শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন। অবমুক্ত হওয়ার ৫ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষককে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।

এই নীতিমালা অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম। ফোরামের আহ্বায়ক মো. সান্ত আলী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলির বিধান শিক্ষকদের কোন উপকারে আসবে না। এ নীতিমালা অবিলম্বে সংশোধন করে শূন্য পদের ভিত্তিতে বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।