ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদরুদ্দোজার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগে থেকেই দেশের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া ভালো ছাত্র এবং উপস্থাপক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি।

২০২৩ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দেয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন খুবই প্রাণবন্ত একজন মানুষ। যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে আসর জমাতে পটু ছিলেন । এমনকি খুব সহজেই হাসি দিয়ে তিনি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩২ সালের ১ নভেম্বর কুমিল্লায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং ব্রিটেনের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি এডিনবার্গ, লন্ডন ব্রোম্পটন চেস্ট ইন্সটিটিউট, লন্ডনের হ্যামার স্মিথ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল স্কুল থেকে স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণ করেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী এম.বি.বি.এস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন, পরবর্তীতে তিনি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাজনীতির বাইরে তিনি চিকিৎসকদের কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড চেস্ট ডিজিজ’ নিয়ে বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়ে যোগ দিয়েছেন, এবং এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বাংলাদেশে হেলথ এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামে তার প্রতিষ্ঠিত একটি ট্রাস্টের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে দেশের প্রথম মহিলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি নিজের চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন।

রাজনীতিতে একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পরিচিতি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে। কিন্তু ২০০২ সালে সে দল থেকে বেরিয়ে নতুন দল গঠন করেন তিনি। যদিও গত দুই দশকেও তার নতুন দলটি বড় সাড়া জাগাতে সফল হয়নি। তবে রাজনীতিতে একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বরাবর ছিলেন আলোচিত এক চরিত্র।

বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া বলছে, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৭৯ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন।

তিনি ছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। সেসময় মানে ১৯৭৯ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভায় উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

বি. চৌধুরী জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া- দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন, এবং বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ মহিউদ্দিন আহমদ জানান, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, কিন্তু তিনি হঠাৎ করে রাজনীতিতে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, রাজনীতি করার ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকায় তার মধ্যে প্রচলিত অর্থে রাজনীতিবিদ সুলভ আচরণ কম দেখা যেত।

তিনি বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারণী পর্যায় পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছিলেন। রাজনীতিতে নিজেকে ব্যতিক্রম হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট হবার পর।’ যদিও সেটি বিএনপি মেনে নেয়নি।

রাষ্ট্রপতি হওয়া-পদত্যাগ

মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনি ৫ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুইবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।

এরপর ২০০১ সালের ১৪ই নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেন। ওই সময় শপথ গ্রহণের আগে তিনি বিএনপির সকল পদ ও দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, মি. চৌধুরীর রাজনীতিতে অভিষেক ছিল নাটকীয়, কিন্তু বিএনপি থেকে তার প্রস্থান ছিল ‘বিয়োগান্তক’।

তারপরেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন মি. চৌধুরীকে একজন ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবে মনে রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট হবার পর এমন নাটকীয় পদত্যাগের ঘটনা আর ঘটতে দেখা যায়নি।

২০০২ সালের ২১শে জুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন মি. চৌধুরী। সেসময় বিএনপি সংসদে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল।

তার আগে বিএনপির সংসদীয় দলের বৈঠকে অনেক সংসদ সদস্য দাবী তোলেন যে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী পদত্যাগ করুন। অন্যথায় তাকে ইমপিচ করার হুমকি দেন তারা।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র সাত মাস সাত দিনের মাথায় বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে কেন বিদায় নিতে হয়েছিল, তার নানাবিধ কারণ উল্লেখ করে তখনকার সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রধান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ৩টায় মৃত্যুবরণ করেন। ফুসফুস সংক্রমণের পর গত ২ অক্টোবর তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। বি চৌধুরী আগে থেকেই ‘স্কিমিক হার্ট ডিজিজে’ ভুগছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বদরুদ্দোজার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগে থেকেই দেশের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া ভালো ছাত্র এবং উপস্থাপক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি।

২০২৩ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দেয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন খুবই প্রাণবন্ত একজন মানুষ। যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে আসর জমাতে পটু ছিলেন । এমনকি খুব সহজেই হাসি দিয়ে তিনি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩২ সালের ১ নভেম্বর কুমিল্লায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং ব্রিটেনের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি এডিনবার্গ, লন্ডন ব্রোম্পটন চেস্ট ইন্সটিটিউট, লন্ডনের হ্যামার স্মিথ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল স্কুল থেকে স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণ করেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী এম.বি.বি.এস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন, পরবর্তীতে তিনি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাজনীতির বাইরে তিনি চিকিৎসকদের কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড চেস্ট ডিজিজ’ নিয়ে বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়ে যোগ দিয়েছেন, এবং এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বাংলাদেশে হেলথ এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামে তার প্রতিষ্ঠিত একটি ট্রাস্টের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে দেশের প্রথম মহিলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি নিজের চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন।

রাজনীতিতে একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পরিচিতি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে। কিন্তু ২০০২ সালে সে দল থেকে বেরিয়ে নতুন দল গঠন করেন তিনি। যদিও গত দুই দশকেও তার নতুন দলটি বড় সাড়া জাগাতে সফল হয়নি। তবে রাজনীতিতে একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বরাবর ছিলেন আলোচিত এক চরিত্র।

বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া বলছে, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৭৯ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন।

তিনি ছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। সেসময় মানে ১৯৭৯ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভায় উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

বি. চৌধুরী জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া- দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন, এবং বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ মহিউদ্দিন আহমদ জানান, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, কিন্তু তিনি হঠাৎ করে রাজনীতিতে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, রাজনীতি করার ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকায় তার মধ্যে প্রচলিত অর্থে রাজনীতিবিদ সুলভ আচরণ কম দেখা যেত।

তিনি বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারণী পর্যায় পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছিলেন। রাজনীতিতে নিজেকে ব্যতিক্রম হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট হবার পর।’ যদিও সেটি বিএনপি মেনে নেয়নি।

রাষ্ট্রপতি হওয়া-পদত্যাগ

মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনি ৫ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুইবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।

এরপর ২০০১ সালের ১৪ই নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেন। ওই সময় শপথ গ্রহণের আগে তিনি বিএনপির সকল পদ ও দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, মি. চৌধুরীর রাজনীতিতে অভিষেক ছিল নাটকীয়, কিন্তু বিএনপি থেকে তার প্রস্থান ছিল ‘বিয়োগান্তক’।

তারপরেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন মি. চৌধুরীকে একজন ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবে মনে রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট হবার পর এমন নাটকীয় পদত্যাগের ঘটনা আর ঘটতে দেখা যায়নি।

২০০২ সালের ২১শে জুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন মি. চৌধুরী। সেসময় বিএনপি সংসদে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল।

তার আগে বিএনপির সংসদীয় দলের বৈঠকে অনেক সংসদ সদস্য দাবী তোলেন যে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী পদত্যাগ করুন। অন্যথায় তাকে ইমপিচ করার হুমকি দেন তারা।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র সাত মাস সাত দিনের মাথায় বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে কেন বিদায় নিতে হয়েছিল, তার নানাবিধ কারণ উল্লেখ করে তখনকার সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রধান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ৩টায় মৃত্যুবরণ করেন। ফুসফুস সংক্রমণের পর গত ২ অক্টোবর তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। বি চৌধুরী আগে থেকেই ‘স্কিমিক হার্ট ডিজিজে’ ভুগছিলেন।