বগুড়া/ ছাগল রাখার ঘরে পুঁতে রাখা হয় বস্তাবন্দী মরদেহ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ায় অপহরনের ৮ দিন পর নাসিরুল ইসলাম নাসিম (১৪) নামে এক কিশোরের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ গাবতলি উপজেলার একটি বাড়ির ছাগল রাখার ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়েছিলো।
এঘটনায় পুলিশ এনামুল হক (২০) ও ফিরোজ ইসলাম (১৯) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার ও হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে। মুক্তিপন বাবদ ওই কিশোরের পিতার নিকট অপহরণকারীরা ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করেছিলো।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের বিষয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন। এসময় ডিবিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার ওয়াজেল মন্ডলের ছেলে স্কুল ছাত্র নাসিমের সঙ্গে গ্রেফতারকৃত এনামুল ও ফিরোজের বন্ধুত্বপুর্ণ সর্ম্পক ছিলো। তারা পরস্পরের আত্মীয়। সিগারেট খাওয়া নিয়ে দু’ জনের সঙ্গে কিশোর নাসিমের সর্ম্পকের অবনতি হয়। এর জের ধরে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নাসিমকে শায়েস্তা করার জন্য সারিয়াকন্দি থেকে পাশের গাবতলি উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়ি নিকট ডেকে নেয়া হয়। সেখানে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে গ্রেফতারকৃত এনামুলের বাড়ির ছাগল ও মুরগী রখার ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়। নাসিমের নিখোঁজ হওয়ার পর তার পিতা সারিয়াকান্দি থানায় জিডি করেন। পরবর্তীতে নাসিমের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার পিতার নিকট মুক্তিপণ বাবদ ৮০ হাজার টাকা চেয়ে ম্যাসেজ দেয়া হয়।
ডিবি ও সারিয়াকান্দি পুলিশ এবিষয়ে তদন্ত শুরু করে এবং সোমবার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ি সোমবার রাত ১০টায় পুলিশ পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে এঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।