ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেরিওয়ালার প্রেমে স্কুল শিক্ষিকা

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু, হবিগঞ্জ
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফেরিওয়ালার প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুরের এক স্কুল শিক্ষিকা। কানিজ ফাতেমা নামের ওই শিক্ষিকা হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের মিজান মিয়ার স্ত্রী। তিনি বুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। স্ত্রী এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েসহ ৩ সন্তান নিয়ে মাধবপুর পৌরসভার সবুজবাগে থাকতেন মিজান।

জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা সদরে ২১ দিনের প্রশিক্ষণে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন কানিজ। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর ফোন করে মিজানকে ডাকযোগে তালাকনামা পাঠান কানিজ।

দুইদিন পর আবার ফোন করে কানিজ ফাতেমা জানান, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হান্নান খন্দকারের ছেলে ওয়াসিম খন্দকারকে বিয়ে করেছেন। ওয়াসিম খন্দকারও মিজানকে ফোনে একই কথা জানান। ওয়াসিম খন্দকার গ্রামে গ্রামে ফেরি করে প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রি করেন।

কানিজ ফাতেমার স্বামী মিজান মিয়া জানান, প্রায় ২০ বছর আগে শাহবাজপুর গ্রামের মোস্তাক মিয়ার মেয়ে কানিজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন তিনি। সে বছর কানিজ এসএসসি পরীক্ষা দেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে বিএ পাশ করান মিজান। পরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি লাভ করেন কানিজ।

মিজান মিয়া জানান, তার ৩ সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে ইশা (১৫) স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এছাড়া ইশান (১১) ও ইমরান (৮) নামে তার ২ ছেলে রয়েছে।

মিজান দাবি করেন, কানিজ ফাতেমা যাওয়ার সময় ঘরে রক্ষিত বাড়ি বিক্রির ১২ লাখ টাকা ও সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছেন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিরে এলে কানিজ ফাতেমাকে যথাযথ মর্যাদায় গ্রহণ করবেন বলেও জানান মিজান।

এ বিষয়ে শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার স্বামী মিজান বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা ঋণ করে আমার ওপর চাপিয়ে দেয়াসহ মানসিকভাবে চাপে রাখে। আমি এই মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে তাকে ডিভোর্স দিয়ে আমি ফেরিওয়ালাকে বিয়ে করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফেরিওয়ালার প্রেমে স্কুল শিক্ষিকা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

ফেরিওয়ালার প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুরের এক স্কুল শিক্ষিকা। কানিজ ফাতেমা নামের ওই শিক্ষিকা হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের মিজান মিয়ার স্ত্রী। তিনি বুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। স্ত্রী এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েসহ ৩ সন্তান নিয়ে মাধবপুর পৌরসভার সবুজবাগে থাকতেন মিজান।

জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা সদরে ২১ দিনের প্রশিক্ষণে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন কানিজ। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর ফোন করে মিজানকে ডাকযোগে তালাকনামা পাঠান কানিজ।

দুইদিন পর আবার ফোন করে কানিজ ফাতেমা জানান, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের হান্নান খন্দকারের ছেলে ওয়াসিম খন্দকারকে বিয়ে করেছেন। ওয়াসিম খন্দকারও মিজানকে ফোনে একই কথা জানান। ওয়াসিম খন্দকার গ্রামে গ্রামে ফেরি করে প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রি করেন।

কানিজ ফাতেমার স্বামী মিজান মিয়া জানান, প্রায় ২০ বছর আগে শাহবাজপুর গ্রামের মোস্তাক মিয়ার মেয়ে কানিজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন তিনি। সে বছর কানিজ এসএসসি পরীক্ষা দেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে বিএ পাশ করান মিজান। পরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি লাভ করেন কানিজ।

মিজান মিয়া জানান, তার ৩ সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে ইশা (১৫) স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এছাড়া ইশান (১১) ও ইমরান (৮) নামে তার ২ ছেলে রয়েছে।

মিজান দাবি করেন, কানিজ ফাতেমা যাওয়ার সময় ঘরে রক্ষিত বাড়ি বিক্রির ১২ লাখ টাকা ও সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছেন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিরে এলে কানিজ ফাতেমাকে যথাযথ মর্যাদায় গ্রহণ করবেন বলেও জানান মিজান।

এ বিষয়ে শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার স্বামী মিজান বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা ঋণ করে আমার ওপর চাপিয়ে দেয়াসহ মানসিকভাবে চাপে রাখে। আমি এই মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে তাকে ডিভোর্স দিয়ে আমি ফেরিওয়ালাকে বিয়ে করি।