ফুটপাত আবারও দখলে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সিলেট নগরীর ফুটপাত আবারও হকারদের দখলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকাররের পতনের পর শীর্ষ ও স্থানীয় নেতারা গাঁ ঢাকা দিলে অভিবাবকহীন হয়ে পড়ে সিলেট নগরী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী চলে যান আত্মগোপনে । কার্যালয়ে নেই সিসিক কর্মকর্তারা।
এ অবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনে। এই সুযোগে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। এর ফলে সংকুচিত হয়ে গেছে রাস্তা, বেড়েছে যানজট। একই সাথে যত্রতত্র বেড়েছে সিএনজি অটোরিক্সা পার্কিং। এমন অবস্থায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দায়িত্ব পালনকারী আনসারী ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বেকায়দায়।
পুলিশের অনুপস্থিতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিরবতার সুযোগে নগরীর ফুটপাত ও রাস্তা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন হকাররা। সিসিকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠছে হকাররা। রাস্তার পাশাপাশি নগরীর লালদিঘীর পাড়ে নির্মিত অস্থায়ী হকার মার্কেটও দখলে রেখেছে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর তালতলা পয়েন্ট থেকে শুরু করে নগরীর বন্দরবাজার পয়েন্টের সড়কের দুইদিকে রিক্সা-ভ্যান ও ঠেলাভ্যান নিয়ে হকাররা দেদারছে বসে আছেন। বন্দরবাজার থেকে রংমহল টাওয়ারের রাস্তার পাশও হকারদের দখলে। মধুবন মার্কেটের সামন থেকে জেলরোড, কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত সর্বত্রই হকারদের দৌরাত্ম বেড়েছে।
নগরীর লালদিঘীরপারস্থ হকার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সেখানেও হকারদের অবস্থান। তবে অর্ধেকের বেশী দোকান খালি পড়ে রয়েছে। আবার কেউ লালদিঘীরপারেও ব্যবসা করছেন, আবার রাস্তায়ও ব্যবসা করছেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট (সোমবার) গণ অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এতে করে নগর ভবনের কার্যক্রমে নেমে আসে স্থবিরতা। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা অভিভাবকহীন শহরে হকাররা তাদের নির্ধারিত স্থান ছেড়ে ফের রাস্তায় বসে পড়েছে। আর এতে তৈরী হচ্ছে রাস্তায় দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।