ফাঁদ নয়, পাখি তাড়াতে কৃষকদের অভিনব কৌশল
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শুরু হয়েছে সূর্যমূখি ফুলের আবাদ। তাই ক্ষেতের বীজ রক্ষায় ফাঁদ নয়, অভিনব কৌশলে পাখি তাড়াচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার বিস্তির্ন ক্ষেত জুড়ে পুঁতে রাখা লাঠির মাথায় সাটিনো হয়েছে ছোট বড় রং বেরংয়ের পলিথিন। এসব পলিথিন বাতাসে দোল খাচ্ছে। একই সাথে শোঁ শোঁ শব্দে চলে যাচ্ছে পাখি। শুধু পলিথিনই পুরানো ক্যাসেটের ফিতা ও প্লাটিকের বস্তাসহ অনেক ক্ষেতে সাটানো হচ্ছে কাকতাড়–য়াও। এতে পাখির কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে সূর্যমূখি বীজ। আর উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ক্ষেতে বীজ বপনের পর শালিক সহ বিভিন্ন প্রজাতির ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি খেয়ে সাবার করে দেয়। বার বার বীজ বপন করেও তা রক্ষা করতে পারছেনা। তাই পাখির কবল থেকে বীজ রক্ষায় ফাঁদের পরিবর্তে এমন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন তারা।
মহিপুরের ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মনির মিয়া জানান, তিনি ৯০ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখির আবাদ করেছি। দুই বার বীচ বপনের পরও রাখতে পারেনি। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি বসে সব নষ্ট করে দিয়েছে। এখন তৃতীয়বারের মতো বপন করে ক্ষেতের সব জায়গায় পলিথিন টানিয়ে দিয়েছেন। এখন পলিথিনের শোঁ শোঁ শব্দে ক্ষেতে আর পাখি বসছেনা। একই এলাকার অপর কৃষানী তৃষ্ণা রানী জানান, সে পলিথিন পদ্ধতি অবলম্বন সম্পর্কে জানতান না। যার কারনে দুই তিন বার করে বীজ বপন করতে হয়েছে। তবে এবছর বীজ বপনের পরপরই ক্ষেতে পলিথিন টানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে পাখিতে বীজ নষ্ট করতে পারেনি।
ফাঁদ না পেতে এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করায় কৃষকদের স্বাদুবাদ জানান এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপড়া শাখার টিম লিডার রাকায়েত আহসান। তবে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করার কারনে মারা পরছেনা পাখিকুল। আবার এতে উপকৃত হচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, গত বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ হয়েছিলো। এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখির আবাদ হয়েছে। এই উপজেলা দিন দিন বাড়ছে সূর্যমূখির আবাদ। সূর্যমূখির বীজ রক্ষায় কৃষকদের এই অভিনব পদ্ধতি আমরা সকল কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।