প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
দেশের ১২ জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বৃষ্টি কম হওয়ায় কিছু এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কয়েক জেলায় নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎহীন অনেক এলাকা।
কুমিল্লায় গোমতী নদীতে পানির উচ্চতা কিছুটা কমলেও শুক্রবার বিকেলে নতুন করে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এসব এলাকার কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে।
নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সড়ক ও বাড়ি-ঘর কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জায়গায় ৫০০ টনের বেশি চাল বিতরণ করেছে প্রশাসন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের ধৈর্য ধরতে আহবান জানাচ্ছি। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ চলছে। আশা করছি সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিটি কেন্দ্রে আমরা ত্রাণ পৌঁছাতে পারব।
ফেনীর ৬টি উপজেলায় ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার জনকে। বর্তমানে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন সব এলাকা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বন্যার্তদের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন।
বৃষ্টি না হওয়ায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে পানি কমেছে। তবে দুর্ভোগে পড়েছে ৭০ হাজার মানুষ। খাগড়ছড়িতে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দীঘিনালায় এখনও পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা ইউএনও মামুনুর রশিদ বলেন, দেড় শ থেকে দুই শ পরিবার বন্যার কারণে আটকা পড়েছে। আমরা তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পানি তমতে শুরু করেছে। হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানিও কিছুটা কমলে পাঁচ উপজেলায় পানিবন্দি রয়েছেন ৫৭ হাজার মানুষ।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে মনু নদের পানির কারণে নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে অনেক এলাকায়।