পিএসসির অধীনে ৩৫৩৪ জনের নিয়োগ স্থগিত
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৪৩ ক্যাটাগরির ‘জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক)’ পদে নিয়োগ চূড়ান্তের পর যোগদানের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এতে পিএসসির অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৫৩৪ জনের নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো.আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ জানান, পিএসসির অধীনে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের (নন-ক্যাডার) কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজসমূহের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর পদে গত ২০২১ সালে ২৬ অক্টোবর পিএসসি কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং সর্বশেষ গত ২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারি সর্বমোট ৩৫৩৪ জনের নিয়োগ প্রদানের সার্কুলার জারি করা হয় এবং উক্ত সার্কুলারে ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি যোগদান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আজ ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে উক্ত নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুলনিশি জারি করেন এবং উক্ত নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
আবেদনকারী ১৮ জনের পক্ষে এ মামলা শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ জেড এম নুরুল আমিন, মো. মাকসুদ উল্লাহ, মো. রুকনুজ্জামান, আবু সাঈদ খান, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত।
তবে এ নিয়োগ পরীক্ষায় ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ হয়েছে দাবি করে গত বছর কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।