পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে সেতু, যান চলাচল বন্ধ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় কক্সবাজারের রামুর উপজেলার মনিরঝিল এলাকার দু’টি সেতু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক দিয়ে রামু উপজেলার রাজারকুল-কাউয়ারখোপ দুই ইউনিয়ন এবং পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মানুষেরা যাতায়াত করে।
এ সড়কে তিনটি সংযোগ সেতু রয়েছে। যেখানে দুটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত। এরমধ্যে মনিরঝিল এলাকার ডিঙ্গাকাটা সেতুটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। দু’পাড়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা।
এছাড়াও সদ্য নির্মিত রাজারকুল-মনিরঝিল সেতুর একপাশে এ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের কবলে পড়েছে সেতুটি। এপ্রোচ ও নদীর পাড় ভাঙন রক্ষায় বালির বস্তা, মাটি ও গাছ দিয়ে সংস্কার করেন এলজিইডি রামু উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নামলে নদীর পাড় তলিয়ে সেতুটিও ভাঙনের কবলে পড়েছে। ওই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করছে স্থানীয়রা।
মনিরঝিল এলাকার কৃষক গুরা মিয়া বলেন, ডিঙ্গাকাটা সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা। পরিবহন ব্যবস্হা না থাকায় উৎপাদিত শষ্য বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলে ডিঙ্গাকাটা সেতুটি ভেঙে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সাথে অনেক ফসলি জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে। শিক্ষা, চিকিৎসা এবং ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে এটি বড় বাধাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাবেক এমইউপি জহির আহমদ বলেন, পাহাড় হতে আঁকাবাঁকা হয়ে আসা সোনাইছড়ি খালটি এসে মিলেছে বাকঁখালী নদীতে। পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় নদীর পাড় ও ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়াতে সোনাইছড়ি খালের গতিপথ বদলে গেছে। তিনি উপজেলা প্রশাসনের কাছে সেতু দু’টির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
এলজিইডি রামু উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাছান ভূঁইয়া জানান, ভারি বর্ষণে পানির তোড়ে মনিরঝিল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুটি সংস্কার করার পরও টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কাজ পুরোপুরি শেষ করা যাচ্ছে না। বর্ষা শেষে সংস্কারের বিষয়ে অগ্রসর হবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে ডিঙ্গাকাটা সেতুুটি নির্মাণ করা হয় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে। এ বিষয়ে রামু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় পাহাড়ি ঢলের তীব্র চাপে খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সড়কের দু’পাশে এপ্রোচের মাটি সরে যাওয়াতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড়ি ঢলে টিআর/কাবিখা/কাবিটা ২৩-২৪ অর্থবছরের প্রায় গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এসব বিষয়ে উর্ধ্বতনের নির্দেশনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।