পাঁচ মাস আগে হত্যার ছক! খণ্ডিত লাশ ব্রিফকেসে নিয়ে বের হন, দেখা গেলে সিসিটিভি ফুটেজে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন, সেই গার্ডেনের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। ফুটেজে দেখা যায়, এমপি আনার দু’জনের সাথে সেখানে যান। কিন্তু সেখান বের খণ্ড খণ্ড হয়ে, ব্রিফকেস আর পলিথিনে ভিতরে। কিলিং মিশনে সবার সামনে ছিলেন শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ।
চলতি মাসের ১৩ মে দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ঢুকেন এমপি আনার। এ সময় তার সাথে থাকা দু’জন হলেন শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ এবং তার সহযোগী ফয়সাল। এমপি আনার তখন তার জুতা রাখেন র্যাকে। বেশ শান্তশিষ্ট ও স্বতস্ফুর্তভাবে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা যায় তাকে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর বের হয়ে আসেন শিমুল ভুইয়া ওরফে আমানুল্লাহ। তখন তার হাতে ছিলো একটা লাগেজ। এরপর তার সাথে পলিথিন ও কাগজের শপিং ব্যাগ হাতে বের হন আরেকজন। ফ্ল্যাট থেকে বের হওয়ার সময় শিমুল ভুইয়া বাইরে থেকে দরজা লক করে দেন। লিফট দিয়ে নেমে তারা বের হয়ে যান এমপি আনারের মরদেহ গুম করতে। পুরো কিলিং মিশনের নেতৃত্বে দেন শিমুল ভূঁইয়া।
এমপি আনার হত্যার ঘটনায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এমপি আনোয়ারুল হত্যার মোটিভের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে দুই দেশের পুলিশ।
আটককৃতরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় চরমপন্থীদের ক্রসফায়ারসহ নানাভাবে শায়েস্তা করিয়েছে এমপি আনোয়ারুল আজিম। আর তা নিয়ে ক্ষোভ ছিল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের। এছাড়া, আরও একটি বড় কারণ, কলকাতায় স্বর্ণ চোরাচালালে আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করা। এর আগে এমপি আনারের হয়ে কাজ করতেন আকতারুজ্জামান শাহীন। এমপির কাছে শাহিন ৫০ কোটি টাকা পেতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদের জানিয়েছে আসামিরা। শাহীনের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে এমপি আনারের বিবাদ চলছিলেঅ। পরে, এমপির কাছের মানুষ শিমুল ভুইয়াকে দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়। এমপি আনারকে বলা হয়, কলকাতায় একজনের কাছে অনেক স্বর্ণের বারের মজুদ রয়েছে। তার সাথে মিটিংয়ে বসতে হবে। তা বলেই কলকাতায় ডেকে নেওয়া হয় এমপি আনারকে। অন্তত ৫ মাস আগে এই খুনের পরিকল্পনা করে শাহীন।