নেশার টাকা জোগাড় করতেই তপুকে অপহরণ ও হত্যা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
পাবনার ঈশ্বরদীর চাঞ্চল্যকর কিশোর তপু (১৪) হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেনন পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।
হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জয়নাল আবেদীন জয় (২০) এবং ঈসা খালাশি (১৯)। সোহেল নামে আরেক আসামি পলাতক রয়েছে। নিহত তপু মশুরিয়াপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৫ জুন দুপুরে ঈশ্বরদীর মশুরিয়া কলেজপাড়ার তপু বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর অপহরণকারী তপুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে তপুর বাবাকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সাাত হাজার টাকা দেয়ার পরো তপুর খোঁজ মেলেনি। এরপর তপুর মা বাদী হয়ে থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মূল আসামিদের শনাক্ত করা হলেও ভিকটিমকে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
পরে গত ২২ জুন মশুরিয়াপাড়ার অরন্য ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলায় একটি টিনের ট্যাংক থেকে তপুর অর্ধগলিত রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পালানোর সময় পাবনা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রধান অভিযুক্ত জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী তপুর বাড়ি ছাত্রাবাসের পাশে হওয়ায় একসাথে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলতো। এমনকি আড্ডা দিতে ও ধূমপান করতো। জয় ইতোপূর্বে আতাইকুলা থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। তার মামলার খরচ, ছাত্রাবাসের খরচ এবং মাদক সেবনের জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সোহেল ও ঈসার সাথে অপহরণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে তপুকে ছাত্রাবাসে ডেকে এনে জিম্মি করে। তপু আতঙ্কে চিৎকার শুরু করলে তারা চাকু দিয়ে হত্যা করে। এরপর বেল্ট দিয়ে তার হাত বেঁধে একটি ট্যাংকে ভরে রাখে।
পরে আসামি জয় ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলফোন দিয়ে তার বাবার কাছে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। এছাড়াও আসামিরা ঘটনা আড়াল করতে নানা কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাদের শনাক্ত করে।