ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী সাঁতরে লোকালয়ে, পরে বনে ফিরে গেলো হরিণ

আবু-হানিফ,বাগেরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নদী সাঁতরে লোকালয়ে আসা দুটি চিত্রল হরিণ বনে ফিরিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী। এরমধ্যে একটি হরিণ স্থানীয়রা ধরে বনে অবমুক্ত করে। অন্যটি তাড়া খেয়ে নদী পার হয়ে আবার বনে ফিরে যায়। বুধবার (১২ জুন) রাত ১১টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামে ঢুকে পড়েছিলো হরিণ দুটি।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর সুন্দরবনে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। মাশার কামড়ে বনরক্ষীরাই টিকে থাকবতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে হরিণ দুটিও লোকালয়ে চলে এসেছে। বনবিভাগ ও বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদেও কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওয়াইল টিমের শরণখোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী আলম হাওলাদার জানান, বুধবার (১২ জুন) রাতে হরিণ দুটি বগী-শরণখোলা ভারাণী নদী সাঁতরে দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে পরে ওয়াইল্ড টিম ও ভিলেজ টাইগার টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যসহ গ্রামবাসী মিলে একটি হরিণ ধরা হয়। রাতেই সেটি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশনের বনরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অন্যটিকে ধরার চেষ্টা করলে সেটি নিজেই নদী সাঁতরে ওপারে (বনে) চলে যায়। স্ত্রী হরিণ দুটির বয়স এক বছর।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান এ বিষয়ে বলেন, বুধবার (১২ জুন) রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে দুটি হরিণ বনের পাশের গ্রামে চলে যায়। হরিণ দুটিকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নদী সাঁতরে লোকালয়ে, পরে বনে ফিরে গেলো হরিণ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

নদী সাঁতরে লোকালয়ে আসা দুটি চিত্রল হরিণ বনে ফিরিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী। এরমধ্যে একটি হরিণ স্থানীয়রা ধরে বনে অবমুক্ত করে। অন্যটি তাড়া খেয়ে নদী পার হয়ে আবার বনে ফিরে যায়। বুধবার (১২ জুন) রাত ১১টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামে ঢুকে পড়েছিলো হরিণ দুটি।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর সুন্দরবনে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। মাশার কামড়ে বনরক্ষীরাই টিকে থাকবতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে হরিণ দুটিও লোকালয়ে চলে এসেছে। বনবিভাগ ও বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদেও কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওয়াইল টিমের শরণখোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী আলম হাওলাদার জানান, বুধবার (১২ জুন) রাতে হরিণ দুটি বগী-শরণখোলা ভারাণী নদী সাঁতরে দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে পরে ওয়াইল্ড টিম ও ভিলেজ টাইগার টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যসহ গ্রামবাসী মিলে একটি হরিণ ধরা হয়। রাতেই সেটি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশনের বনরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অন্যটিকে ধরার চেষ্টা করলে সেটি নিজেই নদী সাঁতরে ওপারে (বনে) চলে যায়। স্ত্রী হরিণ দুটির বয়স এক বছর।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান এ বিষয়ে বলেন, বুধবার (১২ জুন) রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে দুটি হরিণ বনের পাশের গ্রামে চলে যায়। হরিণ দুটিকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।