ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা!

নিজস্ব প্রিতবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশ সংস্কারের জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার চিন্তা করছেন বিক্ষোভকারী ছাত্রসংগঠকরা। চার সংগঠকের সাথে সাক্ষাৎকারের পর এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবারের (১৬ আগস্ট) প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পতনের পর দ্রুত নির্বাচনের জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের আহবানকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পুনরাবৃত্তি এড়াতেই নতুন দল গঠনের আশা তাদের।

শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব রয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের দুই সিনিয়র উপদেষ্টা পদে রয়েছেন দুই ছাত্রনেতা। গত তিন দশকের বেশির ভাগ সময়েই বাংলাদেশ শাসন করেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তারা দু’জনই বয়সে বয়োবৃদ্ধ। এ অবস্থায় তারা নতুন দল গঠনের আশা করছেন।

সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে লিঁয়াজো কমিটির প্রধান মাহফুজ আলম বলেন, ছাত্রনেতারা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছে। যাতে বড় দুই দলের আধিপত্যের অবসান ঘটে।

আইন বিভাগের এক ছাত্র রয়টার্সকে বলেন, আগামী একমাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ছাত্রনেতারা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার আগে সাধারণ ভোটারদের সাথে পরামর্শ করতে চান। যদিও এ আন্দোলনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ছাত্রদের এর আগে বিশদভাবে জানানো হয়নি।

তাহমিদ চৌধুরী নামে এক সমন্বয়ক বলেন, তাদের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ দলের মূলে থাকবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাকস্বাধীনতা।

সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের চেতনা ছিলো একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা। যেখানে কোনো স্বৈরাচারী ফিরে আসতে পারবে না। এটা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নতুন নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আহবান বিবেচনা করবে না বলেও জানান তিনি।

ড. ইউনূসের একজন মুখপাত্র কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে বলেন, শিক্ষার্থীরা এখনো টেকনোক্র্যাটদের সাথে রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেনি। তবে রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে চলেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৮৪ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস যদিও নৈতিক কর্তৃত্ব বজায় রাখেন, কিন্তু তার প্রশাসন কী অর্জন করতে পারে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনের কারণ এবং নতুন সরকারের সম্ভাবনার কথা জানতে প্রধান ছাত্রনেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং সেনা কর্মকর্তাসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স।

সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি শীঘ্রই আবার ক্ষমতায় আসবে। আমাদের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া আপনারা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারবেন না।

সূত্র : রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

দেশ সংস্কারের জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার চিন্তা করছেন বিক্ষোভকারী ছাত্রসংগঠকরা। চার সংগঠকের সাথে সাক্ষাৎকারের পর এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবারের (১৬ আগস্ট) প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পতনের পর দ্রুত নির্বাচনের জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের আহবানকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পুনরাবৃত্তি এড়াতেই নতুন দল গঠনের আশা তাদের।

শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব রয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের দুই সিনিয়র উপদেষ্টা পদে রয়েছেন দুই ছাত্রনেতা। গত তিন দশকের বেশির ভাগ সময়েই বাংলাদেশ শাসন করেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তারা দু’জনই বয়সে বয়োবৃদ্ধ। এ অবস্থায় তারা নতুন দল গঠনের আশা করছেন।

সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে লিঁয়াজো কমিটির প্রধান মাহফুজ আলম বলেন, ছাত্রনেতারা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছে। যাতে বড় দুই দলের আধিপত্যের অবসান ঘটে।

আইন বিভাগের এক ছাত্র রয়টার্সকে বলেন, আগামী একমাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ছাত্রনেতারা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার আগে সাধারণ ভোটারদের সাথে পরামর্শ করতে চান। যদিও এ আন্দোলনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ছাত্রদের এর আগে বিশদভাবে জানানো হয়নি।

তাহমিদ চৌধুরী নামে এক সমন্বয়ক বলেন, তাদের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ দলের মূলে থাকবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাকস্বাধীনতা।

সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের চেতনা ছিলো একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা। যেখানে কোনো স্বৈরাচারী ফিরে আসতে পারবে না। এটা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নতুন নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আহবান বিবেচনা করবে না বলেও জানান তিনি।

ড. ইউনূসের একজন মুখপাত্র কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে বলেন, শিক্ষার্থীরা এখনো টেকনোক্র্যাটদের সাথে রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেনি। তবে রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে চলেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৮৪ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস যদিও নৈতিক কর্তৃত্ব বজায় রাখেন, কিন্তু তার প্রশাসন কী অর্জন করতে পারে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনের কারণ এবং নতুন সরকারের সম্ভাবনার কথা জানতে প্রধান ছাত্রনেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং সেনা কর্মকর্তাসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স।

সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি শীঘ্রই আবার ক্ষমতায় আসবে। আমাদের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া আপনারা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারবেন না।

সূত্র : রয়টার্স