নওগাঁয় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে শহরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামে গণ কবরের পার্শ্বে স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিন শিষ, এ সময় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন, ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক সাদনান সাকিব সহ প্রমুখ। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন বক্তব্য বলেন, ১৯৭১ এর যুদ্ধ ছিল প্রত্যেকটা শ্রেণী পেশার মানুষের, এবং ১৯৭০ সালে একটি ভোট হয় সেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনের পক্ষে ৯৯% ভোট পড়েছিল, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে ছিল বলেই ২৫ মার্চ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই অতর্কিত হামলা করে পাক হানাদার বাহিনী, রাজার বাগ পুলিশ লাইন থেকে গর্জে উঠেছিল পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই পুলিশ লাইন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে নিজেরাও যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
সেই সময় সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় সে সময় যারা শহীদ হয়েছে অনেকের তালিকা নেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের একটাই চাওয়া শহীদের তালিকা করে তাদের সম্মানিত করা হোক। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূণ্য করতে দেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করেনে, তারা দেশের মেরুদণ্ড ভাঙ্গতে চেয়েছিলো কিন্তু বাঙালির কাছে পরাজিত হয়। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের।
সেই সাথে ৫ই আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি, ও আন্দোলনে অঙ্গ হারিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে এখনো যারা কাতরাচ্ছে তাদের সুস্থতা কামনা করি , ১৪ই ডিসেম্বর যে সকল বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছে তাদের অনুপ্রেরণায় জুলাই-আগস্ট যেই অভ্যুত্থান হয়েছে সেখানে যে সকল ছাত্র শিক্ষক বুদ্ধিজীবী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং সেখান থেকে স্বাধীনতা অর্জনের প্রেরণা পেয়েছিল। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন একটি ভূখণ্ড পেয়েছি আজকে সেখানে দাঁড়িয়ে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে তিনি বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়।
তাই আমরাও দল মত নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বৈষম্যহীন একটি দেশ গড়তে চায় যেই স্বপ্ন শহীদরা দেখেছিলেন যেই স্বপ্ন জুলাই-আগস্ট ছাত্ররা দেখেছিলেন যে স্বপ্ন বুদ্ধিজীবীরা দেখেছিলেন সে স্বপ্নের বাস্তবায়নে একটা সিঁড়ি বেয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ১৯৭১ সালে একবার আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম সেটা কেবল ভূখণ্ডের স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু ২৪ সালে সত্যিকার অর্থে বাকস্বাধীনতা পেয়েছি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার স্বাধীনতা পেয়েছি ও বিশ্ব দরবারে নিজেকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করার স্বাধীনতা পেয়েছি।