ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেড় লাখ টাকায় দেশ ছাড়েন বিপ্লব কুমার!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে চলে গেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে কোনো এক সময় তিনি ভারতে ঢুকে পড়েন। এ সংক্রান্ত পাচারকারিদের কয়েকটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা ও গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পাটগ্রাম ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার মদন নামে এক ব্যক্তিকে পাটগ্রাম শহর থেকে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর তাকে পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতভর তাকে (পঙ্কজকে) জিজ্ঞাসাবাদ করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী।

বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫১ রংপুর ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গেছে।

পাটগ্রাম থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া ওলেরপাড় এলাকার ওসমান গণির ছেলে পাচারকারি শুভ (৩০) রংপুরে টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। এই সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাটগ্রামের বিএনপির কয়েকজন নেতার সাথে শুভর ব্যাপারে কথা বলেন। এ সময় শুভও মোবাইলে কথা বলেন।

কথা বলার একপর্যায়ে শুভ বলেন, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারকে দহগ্রাম সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পার করে দেয়া হয়েছে। এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পঙ্কজ ও দহগ্রামের আকছেদুল, মমিন, লম্বা শাহীন, ফারুক, রাজিব, শামীম ও মকছেদুলের সহায়তায় বিপ্লবকে পার করা হয়। জলঢাকা মীরগঞ্জের মিঠু, নিশাদ, রুবেল বিপ্লবকে পাটগ্রামে আনতে সহায়তা করে। সীমান্ত পার করার সময় দেড় লাখ টাকা নেয়া হয়।

এ ধরণের কয়েকটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ালে শুভ ও তার বাবা ওসমান গণির সাথে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। বিজিবিও তদন্ত করছে। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে শর্ত সাপেক্ষে মুচলেকা নিয়ে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দেড় লাখ টাকায় দেশ ছাড়েন বিপ্লব কুমার!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে চলে গেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে কোনো এক সময় তিনি ভারতে ঢুকে পড়েন। এ সংক্রান্ত পাচারকারিদের কয়েকটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা ও গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পাটগ্রাম ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার মদন নামে এক ব্যক্তিকে পাটগ্রাম শহর থেকে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর তাকে পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতভর তাকে (পঙ্কজকে) জিজ্ঞাসাবাদ করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী।

বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫১ রংপুর ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গেছে।

পাটগ্রাম থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া ওলেরপাড় এলাকার ওসমান গণির ছেলে পাচারকারি শুভ (৩০) রংপুরে টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। এই সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাটগ্রামের বিএনপির কয়েকজন নেতার সাথে শুভর ব্যাপারে কথা বলেন। এ সময় শুভও মোবাইলে কথা বলেন।

কথা বলার একপর্যায়ে শুভ বলেন, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারকে দহগ্রাম সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পার করে দেয়া হয়েছে। এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পঙ্কজ ও দহগ্রামের আকছেদুল, মমিন, লম্বা শাহীন, ফারুক, রাজিব, শামীম ও মকছেদুলের সহায়তায় বিপ্লবকে পার করা হয়। জলঢাকা মীরগঞ্জের মিঠু, নিশাদ, রুবেল বিপ্লবকে পাটগ্রামে আনতে সহায়তা করে। সীমান্ত পার করার সময় দেড় লাখ টাকা নেয়া হয়।

এ ধরণের কয়েকটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ালে শুভ ও তার বাবা ওসমান গণির সাথে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। বিজিবিও তদন্ত করছে। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে শর্ত সাপেক্ষে মুচলেকা নিয়ে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।