ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশ হারালো প্রথম কোন গ্র্যান্ডমাস্টারকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদকে দেখে এসেছিলেন দাবায়। এরপর ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়াকেও পথ দেখিয়েছেন এই পথে। তাহসিন ফিদে মাস্টার। সেই দাবা খেলতে খেলতেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন জিয়াউর রহমান। দেশ হারালো প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টারকে।

১৯৭৪ সালে জন্ম ৪৯ বর্ষী জিয়ার। গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। এরপর ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাব পান।

জিয়াউর ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার পদবী অর্জন করেন। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিদে রেটিং তার (২৫৭০)। ২৪৭০ ফিদে রেটিং নিয়ে জীবনের শেষ ম্যাচটি খেলেছেন।

১৪বার জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জিয়াউর। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ টানা ৩ বছর, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০১, ২০০২, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১৪ আসরে শিরোপা তুলে ধরেছিলেন।

দাবা বিশ্বকাপে জিয়াউর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন চারবার। ২০০৭, ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৫ আসরে।

দাবা অলিম্পিয়াডে ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৩টি আসরে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরেছেন জিয়াউর। ১৯৯০ ও ২০১০ আসর মিস করেন কেবল। ২০২২ সালে ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডে একটি রেকর্ড করেছিলেন। চেন্নাইয়ে ১৬ বর্ষী ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়ার সাথে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রথম বা-ছেলের জুটি হয়ে জাতীয় দাবা দলে খেলেছেন। যা তার ১৫তম অলিম্পিয়াড। ২০১২ সালের অক্টোবরে নাগপুর ইন্টারন্যাশনাল ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডের খেলা চলছিলো। গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর মুখোমুখি হন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব। ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রায় তিনঘণ্টা খেলেছিলেন জিয়াউর। বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে তিনি লুটিয়ে পড়েন।

তাকে দ্রুত শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাবা ফেডারেশন থেকে ৯ মিনিটের মধ্যে তাকে হাসপাতালে পৌঁছলেও চলে যা পরপারে।

জিয়াউরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনও শোক জানিয়েছেন ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেশ হারালো প্রথম কোন গ্র্যান্ডমাস্টারকে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪


বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদকে দেখে এসেছিলেন দাবায়। এরপর ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়াকেও পথ দেখিয়েছেন এই পথে। তাহসিন ফিদে মাস্টার। সেই দাবা খেলতে খেলতেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন জিয়াউর রহমান। দেশ হারালো প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টারকে।

১৯৭৪ সালে জন্ম ৪৯ বর্ষী জিয়ার। গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। এরপর ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাব পান।

জিয়াউর ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার পদবী অর্জন করেন। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিদে রেটিং তার (২৫৭০)। ২৪৭০ ফিদে রেটিং নিয়ে জীবনের শেষ ম্যাচটি খেলেছেন।

১৪বার জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জিয়াউর। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ টানা ৩ বছর, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০১, ২০০২, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১৪ আসরে শিরোপা তুলে ধরেছিলেন।

দাবা বিশ্বকাপে জিয়াউর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন চারবার। ২০০৭, ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৫ আসরে।

দাবা অলিম্পিয়াডে ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৩টি আসরে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরেছেন জিয়াউর। ১৯৯০ ও ২০১০ আসর মিস করেন কেবল। ২০২২ সালে ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডে একটি রেকর্ড করেছিলেন। চেন্নাইয়ে ১৬ বর্ষী ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়ার সাথে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রথম বা-ছেলের জুটি হয়ে জাতীয় দাবা দলে খেলেছেন। যা তার ১৫তম অলিম্পিয়াড। ২০১২ সালের অক্টোবরে নাগপুর ইন্টারন্যাশনাল ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডের খেলা চলছিলো। গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর মুখোমুখি হন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব। ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রায় তিনঘণ্টা খেলেছিলেন জিয়াউর। বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে তিনি লুটিয়ে পড়েন।

তাকে দ্রুত শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাবা ফেডারেশন থেকে ৯ মিনিটের মধ্যে তাকে হাসপাতালে পৌঁছলেও চলে যা পরপারে।

জিয়াউরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনও শোক জানিয়েছেন ।