ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি হারালেন এএসপি ইয়াকুব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি পুলিশের সাবেক কয়েক কর্মকর্তার বিপুল সম্পদের উৎস ও সন্ধান নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। এরইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি হারালেন বাহিনীর একজন সহকারী পুলিশ সুপার।

রোববার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের সাবেক এএসপি ইয়াকুব হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

এএসপি ইয়াকুব সর্বশেষ রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালে ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ইয়াকুব হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের এএসপি থাকাকালীন থানার একটি দলের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।

ওই প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যেই সেই সময় এএসপি ইয়াকুব একটি দল গঠন করেন। সেই দলে ছিলো তার নিয়ন্ত্রণাধীন মিরপুর থানার সাবেক এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, আল আমিন, গাড়ি চালক কনস্টেবল সামিউল ও রানার কনস্টেবল অনিক।

পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, এই দলের সদস্য জীবন বিশ্বাস, আল আমিন ও সবুর ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী মিরপুর পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে। এরপর সেখানে জনৈক মায়া নামের এক নারীর সাথে আশরাফ হোসেন ও শামীম রেজা নামের দু’জন অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সদস্যরা ওই দু’জনকে অবৈধ কাজ করার অভিযোগে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাদের ছবি তোলেন। পরে মিরপুর বাজারের ‘বিকাশ ব্যবসায়ী’ সোহেল রানার মাধ্যমে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

তৎকালীন এএসপি ইয়াকুব বিষয়টি অবগত থাকার পরও কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের অপকর্মে সহায়তা করেন- বলেও সিদ্ধান্তে এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। পরে ওই বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মতামত পাওয়া যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান গুরুদণ্ডের বিষয়ে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি হারালেন এএসপি ইয়াকুব

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

সম্প্রতি পুলিশের সাবেক কয়েক কর্মকর্তার বিপুল সম্পদের উৎস ও সন্ধান নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। এরইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি হারালেন বাহিনীর একজন সহকারী পুলিশ সুপার।

রোববার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের সাবেক এএসপি ইয়াকুব হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

এএসপি ইয়াকুব সর্বশেষ রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালে ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ইয়াকুব হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের এএসপি থাকাকালীন থানার একটি দলের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।

ওই প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যেই সেই সময় এএসপি ইয়াকুব একটি দল গঠন করেন। সেই দলে ছিলো তার নিয়ন্ত্রণাধীন মিরপুর থানার সাবেক এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, আল আমিন, গাড়ি চালক কনস্টেবল সামিউল ও রানার কনস্টেবল অনিক।

পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, এই দলের সদস্য জীবন বিশ্বাস, আল আমিন ও সবুর ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী মিরপুর পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে। এরপর সেখানে জনৈক মায়া নামের এক নারীর সাথে আশরাফ হোসেন ও শামীম রেজা নামের দু’জন অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সদস্যরা ওই দু’জনকে অবৈধ কাজ করার অভিযোগে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাদের ছবি তোলেন। পরে মিরপুর বাজারের ‘বিকাশ ব্যবসায়ী’ সোহেল রানার মাধ্যমে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

তৎকালীন এএসপি ইয়াকুব বিষয়টি অবগত থাকার পরও কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের অপকর্মে সহায়তা করেন- বলেও সিদ্ধান্তে এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করা হয়। পরে ওই বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মতামত পাওয়া যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান গুরুদণ্ডের বিষয়ে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।