শত-শত একর জমির শাক-সবজি ও ধান পানির নিচে
তিস্তা পাড়ে অকাল বন্যার শঙ্কা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৩১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর ডিমলা ডালিয়া বন্যা সতর্কীকরণ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ছুঁই-ছুঁই প্রবাহিত হচ্ছে। পানির উত্তল তরঙ্গে রুদ্র মূর্তি ধারণ করেছে তিস্তা। পানির প্রবল চাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। অকাল বন্যার আশঙ্কা করছে বন্যা পুর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রে।
তিস্তা বুকে জেগে ওঠা চরের শত-শত একর জমির শাক-সবজি ও আগাম আমন ধানের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ডিমলা ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী অতিকুর রহমান জানান, গক’দিনের অবিরাম ভারী বর্ষণ আর উজানের ধেয়ে আসা পাহাগী ঢলের পানি তিস্তা ডিমলা ডালিয়া বন্যা সতর্কীকরণ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।তিস্তার উজান থেকে পাগাড়ী ঢলের পানি হু-হু করে আসছে তাতে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় অকাল বন্যা দেখা দিবে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে অভিন্ন ১০টি বুড়িতিস্তা, দেওনাই,ঘাগট,চাড়ালকাঁটা,যমুনেম্বরী,কুমলাই,চারানদী,বাকডোগড়া, বুড়িখোড়া ও চিকলি নদীর পানি বিপদসীর উপর দিয়ে প্রাহিত হচ্ছে। অবিরাম বর্ষণে খাল-বিল নিম্নাঞ্চলে পানি থই-থই করছে।
তিস্তার চরের বাসিন্দা আব্দুল্রাহ জানান, তিস্তায় অকাল বন্যা দেখা দেয়ায় চরের শত-শত একর নানা জাতের ফসল,যেমন শাক-সবজি,আগাম জাতের আমন ধান ও বসবাড়ী পানির নিছে তালিয়ে গেছে।চরের বসবাসকারীরা তাদের পরিজন নিয়ে তিস্তা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তিনি। এ অঞ্চলে গত’কদিনে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।