ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিনমাস বন্ধ সুন্দরবনের দুয়ার

খুলনা প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার। সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় শনিবার (১ জুন) থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এ সময় পর্যটক প্রবেশ, সাধারণ মানুষের চলাচল, সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, জুন থেকে আগস্ট-এই তিনমাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই সময় বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এছাড়া এ সময়ে বন্যপ্রাণীরও প্রজনন মৌসুম।

আরও পড়ুন : সিলেটে বন্যা: সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, পানিবন্দী ৫ লাখ মানুষ

তিনি বলেন, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকতো। তবে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই নিষেধাজ্ঞা একমাস বৃদ্ধি করে এক জুন থেকে করা হয়েছে। সেই থেকে তিনমাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বন সংরক্ষক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এই তিন মাস প্রান্তিক জেলে-বাওয়ালিদের বিকল্প খাদ্যসহায়তা দেয়ার। বিকল্প খাদ্য ও সহায়তার জন্য জেলে-বাওয়ালিদের প্রতি পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি চাল দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বনজীবীদের একটি তালিকাও পাঠিয়েছি।

অন্যদিকে বনজীবীরা বলছেন, এর আগের বছরগুলোতে ৩ মাসের এই নিষেধাজ্ঞার সময় প্রভাবশালী চক্রের দখলে ছিল সুন্দরবনের অভয়াশ্রম। সাধারণ জেলে ও বাওয়ালিদের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে তারা হরিণ শিকার ও নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ করেছে।

আরও পড়ুন : এমপি আনার হত্যা/ ৫ দিনের রিমান্ডে শিমুল-তানভীর-সিলিস্তি

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, এই সময় বন্যপ্রাণী শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বন বিভাগ। এরমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট।

বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনের ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১৮৭৪ দশমিক এক বর্গকিলোমিটার। যার পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সুন্দরবনে প্রায় ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ প্রাণী বাস করে। আছে প্রায় ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী। ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ। ৮ প্রজাতির উভচর। বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তিনমাস বন্ধ সুন্দরবনের দুয়ার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

টানা তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার। সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় শনিবার (১ জুন) থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এ সময় পর্যটক প্রবেশ, সাধারণ মানুষের চলাচল, সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, জুন থেকে আগস্ট-এই তিনমাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই সময় বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এছাড়া এ সময়ে বন্যপ্রাণীরও প্রজনন মৌসুম।

আরও পড়ুন : সিলেটে বন্যা: সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, পানিবন্দী ৫ লাখ মানুষ

তিনি বলেন, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকতো। তবে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই নিষেধাজ্ঞা একমাস বৃদ্ধি করে এক জুন থেকে করা হয়েছে। সেই থেকে তিনমাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বন সংরক্ষক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এই তিন মাস প্রান্তিক জেলে-বাওয়ালিদের বিকল্প খাদ্যসহায়তা দেয়ার। বিকল্প খাদ্য ও সহায়তার জন্য জেলে-বাওয়ালিদের প্রতি পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি চাল দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বনজীবীদের একটি তালিকাও পাঠিয়েছি।

অন্যদিকে বনজীবীরা বলছেন, এর আগের বছরগুলোতে ৩ মাসের এই নিষেধাজ্ঞার সময় প্রভাবশালী চক্রের দখলে ছিল সুন্দরবনের অভয়াশ্রম। সাধারণ জেলে ও বাওয়ালিদের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে তারা হরিণ শিকার ও নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ করেছে।

আরও পড়ুন : এমপি আনার হত্যা/ ৫ দিনের রিমান্ডে শিমুল-তানভীর-সিলিস্তি

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, এই সময় বন্যপ্রাণী শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বন বিভাগ। এরমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট।

বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবনের ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১৮৭৪ দশমিক এক বর্গকিলোমিটার। যার পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সুন্দরবনে প্রায় ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ প্রাণী বাস করে। আছে প্রায় ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী। ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ। ৮ প্রজাতির উভচর। বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী।