ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপপ্রবাহ নিয়ে দু:সংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ৪২টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। দেশের পাঁচ বিভাগের ওপর দিয়ে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মে মাসের ২১ তারিখের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিস ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার এ সতর্কতা জারি করা হয়। রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ পর্যন্ত ওঠা নামা করতে পারে।

বুধবার (১৫ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন রাজশাহীতে ৩৮, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ২,রংপুরে ৩৭ দশমিক ৭, সিলেটে ৩৬ দশমিক ৫, খুলনায় ৩৬ দশমিক ৬, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৭ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১০ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে তাপমাত্রা বেড়েছে ৪ ডিগ্রির বেশি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দিনাজপুর,পাবনা, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি এবং কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বান্দরবান এবং ফেনী জেলাসহ ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ,বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবগাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, খুলনা, ঢাকা,রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যার মধ্যে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামী ৫ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২০ মের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা শক্তি পেয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে নতুন এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তার নাম হবে রেমাল। এই নামটি ওমানের দেয়া। এর বাংলা অর্থ বালি। এটি ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধের পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তাপপ্রবাহ নিয়ে দু:সংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

দেশের ৪২টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। দেশের পাঁচ বিভাগের ওপর দিয়ে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মে মাসের ২১ তারিখের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিস ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার এ সতর্কতা জারি করা হয়। রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ পর্যন্ত ওঠা নামা করতে পারে।

বুধবার (১৫ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন রাজশাহীতে ৩৮, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ২,রংপুরে ৩৭ দশমিক ৭, সিলেটে ৩৬ দশমিক ৫, খুলনায় ৩৬ দশমিক ৬, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৭ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১০ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে তাপমাত্রা বেড়েছে ৪ ডিগ্রির বেশি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দিনাজপুর,পাবনা, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি এবং কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বান্দরবান এবং ফেনী জেলাসহ ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ,বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবগাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, খুলনা, ঢাকা,রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যার মধ্যে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামী ৫ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২০ মের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা শক্তি পেয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে নতুন এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তার নাম হবে রেমাল। এই নামটি ওমানের দেয়া। এর বাংলা অর্থ বালি। এটি ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধের পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে।