ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীর তানোরে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম।

সভায় বক্তব্য দেন, এসিল্যান্ড মাসতুরা আমিনা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বার্নাবাস হাসদাক, তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা কমান্ডার আব্দুল ওহাব শেখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন খাঁন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অহাজেদ আলী ও মহিলা বিষয় কর্মকর্তা ফজলুর রহমান ছাড়াও নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান হান্নানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকান্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বরচিত ঘটনা। যা বিশ্বব্যাপি শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায় পাকবাহিনীরা।

স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, পরাজয় তাদের অনিবার্য। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে তারা বসবাস করতে পারবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ আবার ফুলে ফলে ভরে উঠবে। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের বরেণ্য সব ব্যক্তিদের রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়।

এরআগে উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকল বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সময় উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তানোরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজশাহীর তানোরে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম।

সভায় বক্তব্য দেন, এসিল্যান্ড মাসতুরা আমিনা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বার্নাবাস হাসদাক, তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা কমান্ডার আব্দুল ওহাব শেখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মাদ হোসেন খাঁন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অহাজেদ আলী ও মহিলা বিষয় কর্মকর্তা ফজলুর রহমান ছাড়াও নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান হান্নানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকান্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বরচিত ঘটনা। যা বিশ্বব্যাপি শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায় পাকবাহিনীরা।

স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, পরাজয় তাদের অনিবার্য। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে তারা বসবাস করতে পারবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ আবার ফুলে ফলে ভরে উঠবে। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের বরেণ্য সব ব্যক্তিদের রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়।

এরআগে উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকল বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সময় উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।