ঠাকুরগাঁও মেয়ে শিক্ষার্থীদের পেটালেন পুলিশ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের মারের আঘাতে সড়কে লুটিয়ে পড়েন কয়েক ছাত্রীরা। লাঠির আঘাতে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে মেয়েদের ওপর পুলিশের পাশবিক নির্যাতনে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা জানায়, মেয়েগুলো তো খালি হাতে তাদের দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে গিয়েছিলো। তাদের হাতে লাঠি বা অস্ত্র ছিলো না। কোন ভাঙচুরও করেনি। তাহলে পুলিশ কেন বেপরোয়া হয়ে মেয়েদের পেটালো? মেয়েরা যদি কোন অন্যায় করে থাকে তাহলে নারী পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিরোধ করবে কিন্তু এখানে নারী পুলিশ সদস্য তো দুরের কথা পুরুষ পুলিশ সদস্যরা মেয়েদের ধরছে আর পেটাচ্ছে। এরকম নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার পরে দিকে ঠাকুরগাঁও টাঙ্গন ব্রীজ সংলগ্ন অপরাজেয় একাত্তর চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে জর্জ কোট চত্বরে দিকে যাওয়ার অভিমুখে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বাঁধা অতিক্রম করে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ও জেলা দায়রা জজ আদালতের গেটের সামনে পৌঁছালে আবারও পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বাঁধা অতিক্রম করে কোর্ট চত্বরে দিকে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এসময় কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পেটাতে দেখা যায় পুলিশকে। পুলিশের লাঠির আঘাতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গুম, গ্রেফতারকৃত সমন্বয়কসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার, দমন নিপীড়ন বন্ধ, নিহত শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার সহ ৯ দফা দাবিতে আমার শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি বের করি। কিন্তু পুলিশ আমাদের বারবার বাঁধা দেয়। তারা আমাদের নিরাপত্তা না দিয়ে তারাই আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে কয়েক জনকে আহত করেছে। আমরা তো কোনো বিশৃঙ্খলা করিনি। মেয়েদের কেউ পুলিশ পেটায়।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এঘটনায় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।