টাঙ্গাইলের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে-পাকা রাস্তা ভেঙে জনদুর্ভোগ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ১৮২ বার পড়া হয়েছে
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের সবগুলো নদীর পানি বাড়ছে। ইতোমধ্যে জেলার যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার(৬ জুলাই) সকালে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়ার পাকা রাস্তা ভেঙে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে পানির তীব্র স্রোতে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়ার পাকা রাস্তাটির প্রায় ৩০ মিটার এলাকা ভেঙে যায়।
রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় কষ্টাপাড়া, গোবিন্দাসী, স্থলকাশি, রুহুলী, কয়েড়া সহ আশপাশের আরও কয়েকটি এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে ওইসব এলাকার কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনিবার সকাল ৯টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েণ্টে বিপৎসীমার ২০ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেণ্টিমিটার, ঝিনাই নদীর(নিউ ধলেশ্বরী) পানি জোকারচর পয়েণ্টে বিপৎসীমার ১৮ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯২ সেণ্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েণ্টে ২৭ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, জেলার ফটিকজানি নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় নলছোপা পয়েণ্টে ১৮ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১.৫৩ মিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েণ্টে ২৪ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২.১৫ মিটার, মির্জাপুর পয়েণ্টে ১২ সেণ্টিমিটার বেড়ে ৯৩ সেণ্টিমিটার এবং মধুপুর পয়েণ্টে ১৭ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪.১২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর পানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ভূঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় নদীভাঙনে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে পানি ওঠায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।