ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবিতে শামীম হত্যায় সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আটক, থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় ধামরাই কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে সকালে ঢাকার ধামরাইয়ের মোকামটোলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাসের বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

আটক হাবিবুর রহমান হাবিব ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা লাবু খানের ছেলে এবং ধামরাই কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ বা বিভিন্ন তথ্যের জন্য এক জনকে আশুলিয়া থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অপরাধী তাদের জন্য তো কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি।

জানা যায়, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে গণধোলাই দেন। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে আবারও গণধোলাই দেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপরে পুলিশ চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়।

শামীম হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপুটি রেজিস্টার (নিরাপত্তা) সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে ২০-২৫জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলো- ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) মো.আতিকুজ্জামান আতিক (২১), সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪৫ ব্যাচ) রাজু আহাম্মদ (২৫), ইংরেজী বিভাগের (৫০ ব্যাচ) মাহমুদুল হাসান রায়হান (২০), জাবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব (২৪), ইতিহাস বিভাগের (৪৪ ব্যাচ) জুবায়ের আহমেদ (২৪), ইংরেজী বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) হামিদুল্যাহ সালমান (২১) , সিএসই বিভাগের (৪৭ ব্যাচ) সোহাগ মিয়া (২৩) এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪৬ ব্যাচ) মোহাম্মদ রাজন মিয়া (২৫)। এছাড়াও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তের দায়িত্বে থাকা সুদীপ্ত শাহিন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জাবিতে শামীম হত্যায় সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আটক, থানায় মামলা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় ধামরাই কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে সকালে ঢাকার ধামরাইয়ের মোকামটোলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাসের বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

আটক হাবিবুর রহমান হাবিব ধামরাই পৌর এলাকার মোকামটোলা লাবু খানের ছেলে এবং ধামরাই কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ বা বিভিন্ন তথ্যের জন্য এক জনকে আশুলিয়া থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অপরাধী তাদের জন্য তো কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি।

জানা যায়, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে গণধোলাই দেন। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে আবারও গণধোলাই দেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপরে পুলিশ চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়।

শামীম হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপুটি রেজিস্টার (নিরাপত্তা) সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে ২০-২৫জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলো- ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) মো.আতিকুজ্জামান আতিক (২১), সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪৫ ব্যাচ) রাজু আহাম্মদ (২৫), ইংরেজী বিভাগের (৫০ ব্যাচ) মাহমুদুল হাসান রায়হান (২০), জাবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব (২৪), ইতিহাস বিভাগের (৪৪ ব্যাচ) জুবায়ের আহমেদ (২৪), ইংরেজী বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) হামিদুল্যাহ সালমান (২১) , সিএসই বিভাগের (৪৭ ব্যাচ) সোহাগ মিয়া (২৩) এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪৬ ব্যাচ) মোহাম্মদ রাজন মিয়া (২৫)। এছাড়াও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তের দায়িত্বে থাকা সুদীপ্ত শাহিন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।