ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রামের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সবসময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে শুধুমাত্র বরাদ্দকেই বুঝায় না বরং নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়। তিনি বলেন, প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেলে এবং সহজে নাগরিক সেবা পেলে মানুষ রাজস্ব দিতে উৎসাহ বোধ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে বরাদ্ধের সুফল যাতে জনগণ সঠিকভাবে পায় সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের সকল স্তরের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আসন্ন বর্ষাকালে এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বাসা বাড়ি, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল ও থানা থেকে শুরু করে যেসব জায়গায় পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমাট বাঁধতে পারে সেখানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে হবে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে। এ বিষয়ে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদেরকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরনের জন্য নেওয়া যেকোনো উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, কর্নফুলি নদী ও বঙ্গপসাগরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এছাড়া বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আইডি নাম্বার দিয়ে কাজ করা হবে যাতে একই রাস্তায় বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার রাজিব রন্জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রামের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সবসময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে শুধুমাত্র বরাদ্দকেই বুঝায় না বরং নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়। তিনি বলেন, প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধি পেলে এবং সহজে নাগরিক সেবা পেলে মানুষ রাজস্ব দিতে উৎসাহ বোধ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে বরাদ্ধের সুফল যাতে জনগণ সঠিকভাবে পায় সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের সকল স্তরের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আসন্ন বর্ষাকালে এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বাসা বাড়ি, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল ও থানা থেকে শুরু করে যেসব জায়গায় পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমাট বাঁধতে পারে সেখানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে হবে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে। এ বিষয়ে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদেরকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরনের জন্য নেওয়া যেকোনো উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, কর্নফুলি নদী ও বঙ্গপসাগরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এছাড়া বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আইডি নাম্বার দিয়ে কাজ করা হবে যাতে একই রাস্তায় বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার রাজিব রন্জন।