ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলমগ্ন চট্টগ্রাম, পাহাড় ধসের শঙ্কা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় টানা বর্ষণে নিম্ন এলাকায় পানি উঠে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে লাগাতার বৃষ্টিপাতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। জলমগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এর আগে গত বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ভোরের দিকে টানা বর্ষণে রূপ নেয়। এদিকে একটানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবাহওয়া অফিস জানায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়াসহ নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া নগরীর জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহরসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় নিচতলার বাসা, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। নগরীর বিভিন্ন খাল, নালা-নর্দমা থেকে পানি উপচে ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, আমার এলাকা মুরাদপুর, আতুরার ডিপোতেও পানি উঠে গেছে। ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য খাল-নালা দিয়ে পানি দ্রæত প্রবাহিত হতে পারছে না। এর ফলে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের একাধিক টিম এলাকাগুলোতে গিয়েছিল। তারা যেখানে পানিতে আটা পড়েছিল।

নগরীর চকবাজার কে বি আমান আলী রোডের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, চকবাজার কাঁচাবাজারের পানি ছিল। রিকশায় করে কোনোমতে পার হয়েছি। জিইসির মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার আটকে যায়।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা মাঝারি থেকে ভারি কিংবা অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরের জন্য এক নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এদিকে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় পাহাড়ধসের সম্ভাবনা আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জলমগ্ন চট্টগ্রাম, পাহাড় ধসের শঙ্কা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় টানা বর্ষণে নিম্ন এলাকায় পানি উঠে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে লাগাতার বৃষ্টিপাতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। জলমগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এর আগে গত বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ভোরের দিকে টানা বর্ষণে রূপ নেয়। এদিকে একটানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবাহওয়া অফিস জানায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়াসহ নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া নগরীর জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহরসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় নিচতলার বাসা, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। নগরীর বিভিন্ন খাল, নালা-নর্দমা থেকে পানি উপচে ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, আমার এলাকা মুরাদপুর, আতুরার ডিপোতেও পানি উঠে গেছে। ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য খাল-নালা দিয়ে পানি দ্রæত প্রবাহিত হতে পারছে না। এর ফলে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের একাধিক টিম এলাকাগুলোতে গিয়েছিল। তারা যেখানে পানিতে আটা পড়েছিল।

নগরীর চকবাজার কে বি আমান আলী রোডের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, চকবাজার কাঁচাবাজারের পানি ছিল। রিকশায় করে কোনোমতে পার হয়েছি। জিইসির মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার আটকে যায়।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা মাঝারি থেকে ভারি কিংবা অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরের জন্য এক নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এদিকে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় পাহাড়ধসের সম্ভাবনা আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।