ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলজটে জনভোগান্তি পাবনায়

মাসুদ রানা, পাবনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা বৃষ্টিতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই টানা বৃষ্টি শেষ হয়। রাস্তাঘাটের পানি নেমে গেলেও বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ থাকায় মানুষের বাড়িতে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় পাবনা শহরের পশ্চিমাংশে বসবাসকারী মানুষগুলো রয়েছে বেশী বিপদে। অনেক এলাকায় ড্রেনের মুখ বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোথাও ড্রেনের মুখ খোলা থাকলেও পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ধীর গতিতে। ফলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে শহরের শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়ীয়া, আটুয়া চামড়ার আড়ত মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, শালগাড়িয়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, যুগীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন ও রাস্তা উপচে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে যায়।

আটুয়া এলাকার আবুল কালাম জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির বিষয়ে ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারদের ধীরগতি ও গাফিলতিকে দায়ি করেন। ড্রেন দিয়ে পানি বের হওয়ার বদলে ড্রেন থেকেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ঘরে জমা হওয়া বৃষ্টির পানি সেচে সেচে রাত্রি যাপন করছেন বলে অনেক ভুক্তভোগি জানিয়েছেন।

জলাবব্ধতার কারন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পাবনা পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম স্থানগুলো অপরিকল্পিত ভরাট করার কারনে খাল সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি দ্রুতগতিতে বের হতে পারছে না। দ্রুত পানি নিষ্কাশনে শিগগির এই খাল দখলমুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভুক্তভোগিরা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হাসান রঞ্জন জানান, গত তিন দিনে ১৮১.০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জলজটে জনভোগান্তি পাবনায়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই টানা বৃষ্টি শেষ হয়। রাস্তাঘাটের পানি নেমে গেলেও বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ থাকায় মানুষের বাড়িতে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় পাবনা শহরের পশ্চিমাংশে বসবাসকারী মানুষগুলো রয়েছে বেশী বিপদে। অনেক এলাকায় ড্রেনের মুখ বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোথাও ড্রেনের মুখ খোলা থাকলেও পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ধীর গতিতে। ফলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে শহরের শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়ীয়া, আটুয়া চামড়ার আড়ত মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, শালগাড়িয়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, যুগীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন ও রাস্তা উপচে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে যায়।

আটুয়া এলাকার আবুল কালাম জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির বিষয়ে ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারদের ধীরগতি ও গাফিলতিকে দায়ি করেন। ড্রেন দিয়ে পানি বের হওয়ার বদলে ড্রেন থেকেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ঘরে জমা হওয়া বৃষ্টির পানি সেচে সেচে রাত্রি যাপন করছেন বলে অনেক ভুক্তভোগি জানিয়েছেন।

জলাবব্ধতার কারন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পাবনা পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম স্থানগুলো অপরিকল্পিত ভরাট করার কারনে খাল সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি দ্রুতগতিতে বের হতে পারছে না। দ্রুত পানি নিষ্কাশনে শিগগির এই খাল দখলমুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভুক্তভোগিরা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হাসান রঞ্জন জানান, গত তিন দিনে ১৮১.০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস।