জমি দখল নিতে আঁখক্ষেত আগুন, মামলা না নেয়ার অভিযোগ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর তানোরে জমি দখল নিতে ভারাটে লোকজন দিয়ে এক বর্গাদারের আঁখক্ষেতে দিনে-দুপুরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে আলী হোসেন ছাড়াও অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ দিনমজুর রাজ্জাক আলী।
কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার ৬ দিনেও আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ। এর ফলে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ঘটনাটি নিয়ে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল গ্রামের মৃত আসাদ হাজীর পুত্র দিনমজুর রাজ্জাক আলী মন্ডল (৪০) একই গ্রামের মৃত হাজী ফাইজুদ্দিন শাহর পুত্র আবুল হাসানের সাড়ে ১৮ শতক জমি বছর চুক্তি ৩০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। এঅবস্থায় প্রায় তিন বছর ওই জমিতে আঁখ রোপন করা হয়। চলতি মৌসুমে বর্গাদার আবুল হাসানকে দুইমাস আগে ৩০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন রাজ্জাক আলী।
এই পরিস্থিতিতে জিওল দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোন্তাজ আলী ও তার পুত্র আলী হোসেন ওই জমি তাদের দাবী করে বেশ কিছু ভাড়া করা লোকজন নিয়ে গত ১৬ এপ্রিল সকাল অনুমান ৬টার দিকে আঁখক্ষেত ভাংচুর ও বিনষ্টের পর আমগাছ রোপন করে। ঘটনাটি নিয়ে থানায় খবর দেয়া হলে ঘটনার দিন আমশো গ্রামের সাফিসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তবে, পরে প্রভাবিত হয়ে সাফিকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু আটক সাফির সাঙ্গ পাঙ্গদের বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনার বিষয়ে কোন মামলা দেয়া হয়নি। পরে বেসামাল পরিস্থিতিতে তাদের মাদক সেবন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে বর্গাচাষী রাজ্জাক আলী মন্ডল বলেন, তার আঁখক্ষেত ভাংচুর ও বিষ্টে দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষতিপূরণ চাইলে বর্গাদার আবুল হাসান ও আঁখক্ষেত বিনষ্টকারী আলী হোসেন বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। পরে নিরুপাই হয়ে আমি গত ১৮ এপ্রিল আলী হোসেনের বিরুদ্ধে আঁখক্ষেত ভাংচুর ও বিষ্টের কারণে থানায় অভিযোগ করি।
তিনি আরও বলেন, ওই অভিযোগের পর আলী হোসেন থানাপুলিশ ম্যানেজ করে জিওল গ্রামের বাসিন্দা ভাড়াতে নেশাখোঁর ডালিম আর চাঁদপুর গ্রামের মড়–কে দিয়ে ২১ এপ্রিল (রোববার) সকালে তার আঁখক্ষেত আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি থানাপুলিশকে জানানো হলেও আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে আলী হোসেন বলেন, জমির দলিল ও খাজনা তার আমার হালনাগাদ রয়েছে। এরপরও দখল দেয়নি আবুল হাসান। একারণে তিনি দখল নিতে এতোসব করেছেন। কিন্তু রাজ্জাক আলী মন্ডলের সাথে মিমাংসার কথা চলছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা মিমাংসা করে থানায় জানানোর কথা। একারণে থানায় মামলা রুজু হয়নি। তবে, কেউ মামলা করতে চাইলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।