ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, উদ্ধারকৃত ৩ বোমা নিষ্ক্রিয়

মাছুম মিয়া, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা আড়িয়াবো এলাকার একটি চারতলা ভবনে জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় আড়িয়াবো এলাকার জাকির হোসেনের বাড়িতে তারা এ অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ, অ্যান্টি টেরোরিজম ও সোয়াদ ইউনিটের সদস্যরা অংশ নেয়।

জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আড়িয়াবো গ্রামের জাকির হোসেনের চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সক্রিয় একজন সদস্য ভাড়া নেয়। সেখানে তিনি তার দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। এলাকায় কিংবা আশপাশের কারো সাথে যোগাযোগ না করেই তিনি তার মতো বসবাস করে আসছিলেন। বাড়ির মালিক জাকির হোসেনের গ্রামের বাড়ি ব্রা²ণবাড়িয়া জেলায়। তিনি সৌদী প্রবাসী। তবে এবিটির সদস্যের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) সানোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২জুলাই) সকাল থেকেই এটিইউর একটি দল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আড়িয়াবো এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চারতলা বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে। নেত্রকোণা জেলার জঙ্গি ঘটনায় জঙ্গি সংগঠনের সদস্য একজন নারীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ অভিযান চালানো হয়।

এলাকাবাসী জানায়, আট বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি চারতলা ভবনটি নির্মাণ করে ভাড়া দেন। অনেক সময় অপরিচিত লোকজনের এ বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে। নেত্রকোণার জঙ্গির ঘটনার পর গত ৩/৪ দিন ধরে তাদেরকে এ বাড়িতে দেখা যায়নি। জাকির হোসেনের পাশাপাশি তার স্ত্রী বকুলী বেগমও এ বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’-সার্কেল) হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করে। উদ্ধারকৃত তিনটি বোমার একটি বোমা বিষ্ফোরণের আশঙ্কায় ভবনের ভেতরেই তাদের ফ্ল্যাটে বিষ্ফোরিত করে নিষ্ক্রিয় করা হয়। অপর দু’টি বোমা ভবনের পাশে খালি মাঠে গর্ত করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিষ্ফোরিত করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

সোয়াদের কমান্ডার শাহেদ আহমেদ বলেন, তিনটি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইইডি) বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা তাৎক্ষণিক উদ্ভাবিত বোমা। তাৎক্ষণিক উদ্ভাবিত বিস্ফোরক বলতে প্রচলিত সামরিক পদ্ধতি অপেক্ষা অন্য কোনো উপায়ে নির্মিত বোমা হতে পারে। এটি একটি বিস্ফোরক ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত একটি আর্টিলারি শেলের মতো সামরিক বিস্ফোরক নির্মিতও হতে পারে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, উদ্ধারকৃত ৩ বোমা নিষ্ক্রিয়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা আড়িয়াবো এলাকার একটি চারতলা ভবনে জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় আড়িয়াবো এলাকার জাকির হোসেনের বাড়িতে তারা এ অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ, অ্যান্টি টেরোরিজম ও সোয়াদ ইউনিটের সদস্যরা অংশ নেয়।

জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আড়িয়াবো গ্রামের জাকির হোসেনের চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সক্রিয় একজন সদস্য ভাড়া নেয়। সেখানে তিনি তার দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। এলাকায় কিংবা আশপাশের কারো সাথে যোগাযোগ না করেই তিনি তার মতো বসবাস করে আসছিলেন। বাড়ির মালিক জাকির হোসেনের গ্রামের বাড়ি ব্রা²ণবাড়িয়া জেলায়। তিনি সৌদী প্রবাসী। তবে এবিটির সদস্যের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) সানোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২জুলাই) সকাল থেকেই এটিইউর একটি দল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আড়িয়াবো এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চারতলা বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে। নেত্রকোণা জেলার জঙ্গি ঘটনায় জঙ্গি সংগঠনের সদস্য একজন নারীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ অভিযান চালানো হয়।

এলাকাবাসী জানায়, আট বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি চারতলা ভবনটি নির্মাণ করে ভাড়া দেন। অনেক সময় অপরিচিত লোকজনের এ বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে। নেত্রকোণার জঙ্গির ঘটনার পর গত ৩/৪ দিন ধরে তাদেরকে এ বাড়িতে দেখা যায়নি। জাকির হোসেনের পাশাপাশি তার স্ত্রী বকুলী বেগমও এ বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’-সার্কেল) হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করে। উদ্ধারকৃত তিনটি বোমার একটি বোমা বিষ্ফোরণের আশঙ্কায় ভবনের ভেতরেই তাদের ফ্ল্যাটে বিষ্ফোরিত করে নিষ্ক্রিয় করা হয়। অপর দু’টি বোমা ভবনের পাশে খালি মাঠে গর্ত করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিষ্ফোরিত করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

সোয়াদের কমান্ডার শাহেদ আহমেদ বলেন, তিনটি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইইডি) বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা তাৎক্ষণিক উদ্ভাবিত বোমা। তাৎক্ষণিক উদ্ভাবিত বিস্ফোরক বলতে প্রচলিত সামরিক পদ্ধতি অপেক্ষা অন্য কোনো উপায়ে নির্মিত বোমা হতে পারে। এটি একটি বিস্ফোরক ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত একটি আর্টিলারি শেলের মতো সামরিক বিস্ফোরক নির্মিতও হতে পারে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।