ছবিতে দেখুন বন্যার ভয়াবহতা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হালদা, সর্তা ও ধুরুং নদীতে পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসলি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার প্রধান কয়েকটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উজান থেকে পাহাড়ী ঢল আর অব্যাহত বৃষ্টির ফলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) ভোর রাত থেকে লস্করপুর, জালালাবাদসহ পাচঁটি স্থানে বাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্রবেশ করছে নদীর পানি। তলিয়ে যাচ্ছে কয়েক শতাধিক হেক্টর সবজিসহ কৃষি জমি।
টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী নদী বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি নদ-নদীতে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নদ-নদী ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত গ্রাম।
ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশেপাশের অন্তত ১০ গ্রামে। পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে গেছে। এতে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ফেনীতে তৃতীয় দফার বন্যায় জেলার ফুলগাজী-পরশুরাম-ছাগলনাইয়া উপজেলায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
প্রধান সড়ক ২ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।
কুমিল্লায় বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতী নদীর পানি। এতে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আতঙ্কে বাসাবাড়ি ছাড়ছে অনেকেই।