ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ভিক্টর ও গ্যারি

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণে অবদানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। খবর আলজাজিরার।

এক বিবৃতিতে নোবেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন নতুন শ্রেণির ক্ষুদ্র আরএনএ অণু আবিষ্কার করেছেন, যা জিন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন নীতি প্রকাশ করেছে, যা মানুষসহ বহুকোষী জীবের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সেই নিয়য় মেনে চিকিৎসা শাস্ত্রের নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী ছয়দিন ছয়টি বিভাগে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকে দেয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।

নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।

২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রথম দিন করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করায় দুই বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। নোবেল বিজয়ী ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান।

এমআরএনএ করোনার টিকার প্রযুক্তি করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর আগে পরীক্ষামূলক অবস্থায় ছিল। তবে এ টিকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে। এখন ঠিক একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসারসহ অন্য নানা রোগের টিকা আবিষ্কারের গবেষণার কাজে লাগানো হচ্ছে।

এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের নাম এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এ বছর চীনের লেখন ক্যান সুইকে বেছে নেবে সুইডিশ একাডেমি।

তবে সুইডেনের সংবাদপত্র ড্যাজেন নাইহেতারের সংস্কৃতি সম্পাদক বর্ন উইম্যান বলেন, এ বছর ইউরোপের বাইরে অন্য কোনো ভাষার কোনো নারী লেখক সাহিত্যে নোবেল পাবেন। এর আগে শেষ ২০১২ সালে চীনা লেখন মো ইয়ান সাহিত্যে নোবেল পান।

এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ার উপন্যাসিক জেরাল্ড মারনানি, যুক্তরাজ্যের লেখক সালমান রুশদি, আর্জেন্টাইন–আমেরিকান লেখক জ্যামাইকা কিনকেইড, কানাডার কবি অ্যান কারসন, হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই, রোমানিয়ার মিরসিয়া কার্তারেস্কু, কেনিয়ার এনগুগি ওয়া থিওং’ও এবং জাপানের হারুকি মুরাকামির নামও আলোচনায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ভিক্টর ও গ্যারি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

২০২৪ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণে অবদানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। খবর আলজাজিরার।

এক বিবৃতিতে নোবেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন নতুন শ্রেণির ক্ষুদ্র আরএনএ অণু আবিষ্কার করেছেন, যা জিন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন নীতি প্রকাশ করেছে, যা মানুষসহ বহুকোষী জীবের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সেই নিয়য় মেনে চিকিৎসা শাস্ত্রের নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী ছয়দিন ছয়টি বিভাগে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকে দেয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।

নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।

২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রথম দিন করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করায় দুই বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। নোবেল বিজয়ী ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান।

এমআরএনএ করোনার টিকার প্রযুক্তি করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর আগে পরীক্ষামূলক অবস্থায় ছিল। তবে এ টিকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে। এখন ঠিক একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসারসহ অন্য নানা রোগের টিকা আবিষ্কারের গবেষণার কাজে লাগানো হচ্ছে।

এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের নাম এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এ বছর চীনের লেখন ক্যান সুইকে বেছে নেবে সুইডিশ একাডেমি।

তবে সুইডেনের সংবাদপত্র ড্যাজেন নাইহেতারের সংস্কৃতি সম্পাদক বর্ন উইম্যান বলেন, এ বছর ইউরোপের বাইরে অন্য কোনো ভাষার কোনো নারী লেখক সাহিত্যে নোবেল পাবেন। এর আগে শেষ ২০১২ সালে চীনা লেখন মো ইয়ান সাহিত্যে নোবেল পান।

এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ার উপন্যাসিক জেরাল্ড মারনানি, যুক্তরাজ্যের লেখক সালমান রুশদি, আর্জেন্টাইন–আমেরিকান লেখক জ্যামাইকা কিনকেইড, কানাডার কবি অ্যান কারসন, হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই, রোমানিয়ার মিরসিয়া কার্তারেস্কু, কেনিয়ার এনগুগি ওয়া থিওং’ও এবং জাপানের হারুকি মুরাকামির নামও আলোচনায় রয়েছে।