ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে পানিবন্দি দুই লাখের বেশি মানুষ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামেটানা বর্ষণে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দুই লাখেরও বেশী মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। হালদা ও মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশঃ অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গত বুধবার থেকে চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হতে শুরু করে। বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে টানা অতি ভারী বর্ষণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

তথ্যানুযায়ী, তিন উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। এর বাইরে আরও বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে আরও ৫০ হাজার থেকে অন্তঃত এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, মীরসরাই ও সীতাকুন্ডু উপজেলায় এক লাখ ষাট হাজার মানুষ এ মুহুর্তে পানিবন্দি আছেন। এর মধ্যে ফটিকছড়ি ও মীরসরাইয়ে আক্রান্ত গ্রামের সংখ্যা বেশি। তিন উপজেলায় ১১২টি গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রাউজান, হাটহাজারী ও বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় পর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফটিকছড়ি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে আছে। ফসলের ক্ষেত, পুকুর, মাছের খামার তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফটিকছড়ি থেকে হেঁয়াকো রামগড় সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়া, মিরসরাই উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে পানি উঠে গেছে। উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিরসরাই পৌরসভা, জোরারগঞ্জ, ধুম, ওচমানপুর, ইছাখালী, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বারইয়ারহাট-রামগড় সড়ক ও জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সীতাকুন্ডু উপজেলার উত্তরের ছয়টি ইউনিয়ন। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। পানি স্রোতে ভেঙে গেছে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের সিকদার খালের ¯øুইসগেট। এতে লোকালয়ে পানি ঢুকে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

জানা গেছে, রাউজান উপজেলার পশ্চিম নোয়াপাড়া, মোকামীপাড়া, সাম মাহালদারপাড়া, ছামিদর কোয়াং, কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া, উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম, সওদাগরপাড়া, সুজারপাড়া, পূর্ব উরকিরচর, খলিফার ঘোনা ও বৈইজ্জাখালি, বাগোয়ান, পশ্চিম গুজরা, গহিরা, নোয়াজিশপুর, চিকদাইর, ডাবুয়াসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া হাটহাজারী উপজেলার বন্যায় প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে বুড়িশ্চর, শিকারপুর, গড়দোয়ারা, দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা, মেখল, পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড, নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী।

বোয়ালখালী উপজেলার কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম, উপজেলা সদর, সারোয়াতলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় গ্রামীণ সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পুকুর, মাছের খামারও তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন চাষীরা।

এদিকে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ও কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় কালুরঘাটে ফেরি চলাচল দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ লোকজনের গন্তব্যে যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ৩১৭৫ পরিবার, মিরসরাই উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে ১২ হাজার পরিবার এবং সীতাকুন্ডু উপজেলায় ৬টি উপদ্রুত ইউনিয়নে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।


সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম জেলার ২০০ ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে একটি করে মোট ২০০টি, ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রত্যেকটিতে পাঁচটি করে মোট ৭৫টি, ৯টি আরবান ডিসপেন্সারির প্রত্যেকটিতে ১টি করে মোট ৯টি, ১টি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে ১টি ও জেলা সদর হাসপাতালে (চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল) পাঁচটি মেডিকেল টিমসহ সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ওষুধ, স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে। ইতোমধ্যে মেডিকেল টিমগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমুন নবী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য, তাতে চট্টগ্রামে তিনটি উপজেলা মূলত সরাসরি বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এগুলো হচ্ছে, সীতাকুÐ, মিরসরাই ও ফটিকছড়ি। তিনটি উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চাশ মেট্রিকটন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। ১৩৭টি মেডিকেল টিম সেখানে কাজ করছে। এছাড়া ২৩৯টি স্বেচ্ছাসেবক টিম দুর্গতদের সহায়তায় কাজ করছে। শহরে এবং উপজেলায় পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে যাবার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চট্টগ্রামে পানিবন্দি দুই লাখের বেশি মানুষ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

চট্টগ্রামেটানা বর্ষণে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দুই লাখেরও বেশী মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। হালদা ও মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশঃ অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গত বুধবার থেকে চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হতে শুরু করে। বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে টানা অতি ভারী বর্ষণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

তথ্যানুযায়ী, তিন উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। এর বাইরে আরও বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে আরও ৫০ হাজার থেকে অন্তঃত এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, মীরসরাই ও সীতাকুন্ডু উপজেলায় এক লাখ ষাট হাজার মানুষ এ মুহুর্তে পানিবন্দি আছেন। এর মধ্যে ফটিকছড়ি ও মীরসরাইয়ে আক্রান্ত গ্রামের সংখ্যা বেশি। তিন উপজেলায় ১১২টি গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রাউজান, হাটহাজারী ও বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় পর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফটিকছড়ি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে আছে। ফসলের ক্ষেত, পুকুর, মাছের খামার তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফটিকছড়ি থেকে হেঁয়াকো রামগড় সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়া, মিরসরাই উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে পানি উঠে গেছে। উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিরসরাই পৌরসভা, জোরারগঞ্জ, ধুম, ওচমানপুর, ইছাখালী, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বারইয়ারহাট-রামগড় সড়ক ও জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সীতাকুন্ডু উপজেলার উত্তরের ছয়টি ইউনিয়ন। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। পানি স্রোতে ভেঙে গেছে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের সিকদার খালের ¯øুইসগেট। এতে লোকালয়ে পানি ঢুকে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

জানা গেছে, রাউজান উপজেলার পশ্চিম নোয়াপাড়া, মোকামীপাড়া, সাম মাহালদারপাড়া, ছামিদর কোয়াং, কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া, উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম, সওদাগরপাড়া, সুজারপাড়া, পূর্ব উরকিরচর, খলিফার ঘোনা ও বৈইজ্জাখালি, বাগোয়ান, পশ্চিম গুজরা, গহিরা, নোয়াজিশপুর, চিকদাইর, ডাবুয়াসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া হাটহাজারী উপজেলার বন্যায় প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে বুড়িশ্চর, শিকারপুর, গড়দোয়ারা, দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা, মেখল, পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড, নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী।

বোয়ালখালী উপজেলার কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম, উপজেলা সদর, সারোয়াতলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় গ্রামীণ সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পুকুর, মাছের খামারও তলিয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন চাষীরা।

এদিকে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ও কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় কালুরঘাটে ফেরি চলাচল দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ লোকজনের গন্তব্যে যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ৩১৭৫ পরিবার, মিরসরাই উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে ১২ হাজার পরিবার এবং সীতাকুন্ডু উপজেলায় ৬টি উপদ্রুত ইউনিয়নে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।


সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম জেলার ২০০ ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে একটি করে মোট ২০০টি, ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রত্যেকটিতে পাঁচটি করে মোট ৭৫টি, ৯টি আরবান ডিসপেন্সারির প্রত্যেকটিতে ১টি করে মোট ৯টি, ১টি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে ১টি ও জেলা সদর হাসপাতালে (চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল) পাঁচটি মেডিকেল টিমসহ সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ওষুধ, স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে। ইতোমধ্যে মেডিকেল টিমগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমুন নবী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য, তাতে চট্টগ্রামে তিনটি উপজেলা মূলত সরাসরি বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এগুলো হচ্ছে, সীতাকুÐ, মিরসরাই ও ফটিকছড়ি। তিনটি উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চাশ মেট্রিকটন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। ১৩৭টি মেডিকেল টিম সেখানে কাজ করছে। এছাড়া ২৩৯টি স্বেচ্ছাসেবক টিম দুর্গতদের সহায়তায় কাজ করছে। শহরে এবং উপজেলায় পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে যাবার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।