ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের বার্তা দিচ্ছে উপকূলের ৮ কমিউনিটি রেডিও

শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘূর্ণিঝড় রেমালের বয়ে আনা ঝড়-জলোচ্ছাস থেকে বরিশাল উপকূলের বিশাল জনগোষ্ঠি এবং সম্পদ রক্ষায় ৮টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন এবং দুটি অনলাইন ভিজ্যুয়াল রেডিও তিনদিন ধরে সাধারণ মানুষকে সতর্ক বার্তা দিচ্ছে।

রোববার (২৬ মে) দিনভর ঝড়ের সম্ভাব্য গতি প্রকৃতিসহ উপকূলের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সতর্ক করে দেয় এসব কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলো। বিগত কয়েক বছরে ধরে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন, রোয়ানো, কোমেন, ফনি, বুলবুল ও আম্পান’, ‘ইয়াস’ ও ‘সিত্রাং’ এরপর রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় আঘাত হানা ‘রেমাল’ মোকবেলায় উপকূলের কমিউনিটি রেডিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার সময় বাংলাদেশের কমিউনিটি রেডিওগুলো উপকূলীয় জনগণের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও আগাম তথ্য প্রাপ্তির প্রধান উৎস হয়ে ওঠে। এসব কমিউনিটি রেডিও থেকে উপকূলের ১২টি জেলার প্রায় ৫০টি উপজেলার আড়াই শতাধিক ইউনিয়েনের ৪০ লাখ মানুষের কাছে প্রতিদিন প্রায় ৬০ ঘন্টা অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হয়।

৮টি কমিউনিটি রেডিও থেকে প্রতিদিন ৫Ñ৯ ঘন্টা পর্যন্ত প্রকৃতিক দূর্যোগ নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা অন্তর্র্ভুক্ত ছিল। দুটি অনলাইন ভিজিউয়াল রেডিও স্টেশনও আবহাওয়া বার্তা সহ দুর্যোগে প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করে।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরগুনার কমিউনিটি রেডিও লোক বেতার ৯৯.২ এফএম এবং রেডিও কৃষি ৯৮.৮ এফএম, ভোলার রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম, হাতিয়ার কমিউনিটি রেডিও সাগরদ্বীপ ৯৯.২ এফএম, সাতক্ষীরার রেডিও নলতা ৯৯.২ এফএম, চট্টগ্রামের রেডিও সাগর গিরি ৯৯.২ এফএম সহ কক্সবাজারের রেডিও সৈকত ৯৯.০০ এফএম এবং কমিউনিটি ভিজ্যুয়াল রেডিও দ্বীপ ও বাগেরহাটে কমিউনিটি ভিজ্যুয়াল রেডিও ভৈরব অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। যা উপকূলের বিশাল জনগোষ্ঠীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা সৃষ্টিতে সহায়ক হয়।

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন-বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান জানান, রেডিও স্টেশনগুলোতে শতাধিক সম্প্রচারকর্মী ও সেচ্ছাসেবক দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে। সরকারি আদেশ অনুযায়ী নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তর, সম্প্রচারভুক্ত এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন কক্ষ সহ ইউনিয়ন সমূহের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্কাউট এবং দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে গঠিত কমিটি সহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে কমিউনিটি রেডিওগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঘূর্ণিঝড় রেমালের বার্তা দিচ্ছে উপকূলের ৮ কমিউনিটি রেডিও

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের বয়ে আনা ঝড়-জলোচ্ছাস থেকে বরিশাল উপকূলের বিশাল জনগোষ্ঠি এবং সম্পদ রক্ষায় ৮টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন এবং দুটি অনলাইন ভিজ্যুয়াল রেডিও তিনদিন ধরে সাধারণ মানুষকে সতর্ক বার্তা দিচ্ছে।

রোববার (২৬ মে) দিনভর ঝড়ের সম্ভাব্য গতি প্রকৃতিসহ উপকূলের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সতর্ক করে দেয় এসব কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলো। বিগত কয়েক বছরে ধরে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন, রোয়ানো, কোমেন, ফনি, বুলবুল ও আম্পান’, ‘ইয়াস’ ও ‘সিত্রাং’ এরপর রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় আঘাত হানা ‘রেমাল’ মোকবেলায় উপকূলের কমিউনিটি রেডিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার সময় বাংলাদেশের কমিউনিটি রেডিওগুলো উপকূলীয় জনগণের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও আগাম তথ্য প্রাপ্তির প্রধান উৎস হয়ে ওঠে। এসব কমিউনিটি রেডিও থেকে উপকূলের ১২টি জেলার প্রায় ৫০টি উপজেলার আড়াই শতাধিক ইউনিয়েনের ৪০ লাখ মানুষের কাছে প্রতিদিন প্রায় ৬০ ঘন্টা অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হয়।

৮টি কমিউনিটি রেডিও থেকে প্রতিদিন ৫Ñ৯ ঘন্টা পর্যন্ত প্রকৃতিক দূর্যোগ নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা অন্তর্র্ভুক্ত ছিল। দুটি অনলাইন ভিজিউয়াল রেডিও স্টেশনও আবহাওয়া বার্তা সহ দুর্যোগে প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করে।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরগুনার কমিউনিটি রেডিও লোক বেতার ৯৯.২ এফএম এবং রেডিও কৃষি ৯৮.৮ এফএম, ভোলার রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম, হাতিয়ার কমিউনিটি রেডিও সাগরদ্বীপ ৯৯.২ এফএম, সাতক্ষীরার রেডিও নলতা ৯৯.২ এফএম, চট্টগ্রামের রেডিও সাগর গিরি ৯৯.২ এফএম সহ কক্সবাজারের রেডিও সৈকত ৯৯.০০ এফএম এবং কমিউনিটি ভিজ্যুয়াল রেডিও দ্বীপ ও বাগেরহাটে কমিউনিটি ভিজ্যুয়াল রেডিও ভৈরব অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। যা উপকূলের বিশাল জনগোষ্ঠীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা সৃষ্টিতে সহায়ক হয়।

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন-বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান জানান, রেডিও স্টেশনগুলোতে শতাধিক সম্প্রচারকর্মী ও সেচ্ছাসেবক দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে। সরকারি আদেশ অনুযায়ী নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তর, সম্প্রচারভুক্ত এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন কক্ষ সহ ইউনিয়ন সমূহের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্কাউট এবং দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে গঠিত কমিটি সহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে কমিউনিটি রেডিওগুলো।