ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকলমি গ্রামে থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহত ফারজানা আক্তার (২২) সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।

শুকবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, ৫/৬ বছর আগে চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে মেয়ের পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। জহির ব্যবসার সুবাদে একাধিক নারী গ্রাহকের সাথে সে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে তার যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে মারধর করে।

নিহতের বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, জহিরের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা তারা সমাধান করেছেন। বৃহস্পতিবারও তারা বিষয়টি সামাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদের জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আব্দুস সুলতান বলেন, স্বামী এক নারীর সাথে পরকীয়া করত। ওই ঘটনার জেরে স্বামী স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী থানায় নিয়ে আসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকলমি গ্রামে থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহত ফারজানা আক্তার (২২) সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।

শুকবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, ৫/৬ বছর আগে চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে মেয়ের পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। জহির ব্যবসার সুবাদে একাধিক নারী গ্রাহকের সাথে সে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে তার যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে মারধর করে।

নিহতের বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, জহিরের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা তারা সমাধান করেছেন। বৃহস্পতিবারও তারা বিষয়টি সামাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদের জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আব্দুস সুলতান বলেন, স্বামী এক নারীর সাথে পরকীয়া করত। ওই ঘটনার জেরে স্বামী স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী থানায় নিয়ে আসে।