গাজী টায়ারসে আবারও আগুন, লুটপাট
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারসে আবারও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারখানার ভেতরে থাকা ভাঙা যন্ত্রাংশ লুটপাটের পর পূর্বপাশের ‘ওয়েস্টিজ অংশে’ আগুন দেয়া হয়। এ ত্যথ জানিয়েছে কারখানার নিরাপত্তা কর্মীরা। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় আগুন দেয়া হলো কারখানায়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন, শুক্রবার (৬ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যার আগে কারখানার ভেতরে ওয়েস্টিজ রাখার জায়গায় আগুন দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে কারখানার পূর্বপাশের আরেকটি অংশে আগুন দেয়া হয়।
কারখানার এক নিরাপত্তা কর্মী বলেন, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও ২৫ আগস্ট থেকে কারখানায় লুটপাট চলতেছে। গত বুধবার রাতেও লুটপাট করার পর কারখানাটিতে আগুন দেয়া হয়।শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলেও লুটপাটের পর কারখানাটিতে আগুন দেয় লোকজন। যারা লুটপাট করছে তারা সবাই আশেপাশের লোক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুুদুল হক বলেন, ২৫ আগস্টের পর থেকে কারখানাটিতে শিল্প পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আগুনের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিল্প পুলিশ-৪ এর নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কারকানাটির চারদিক খোলা। যেকোনো জায়গা দিয়ে লোকজন ভেতরে ঢুকে পড়ছে। নিরাপত্তার জায়গা থেকে একটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন কারখানাটিতে প্রথমবার হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এরপর কারখানার ভেতরে কয়েকটি স্থাপনা ও যানবাহনে আগুন দেয়া হয়। টানা ৮ আগস্ট পর্যন্ত গাড়ির টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানায় লুটপাাট চলে।
এরপর ২৫ আগস্ট ভোরে একটি হত্যা মামলায় রাজধানী থেকে গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার হলে ওইদিন বিকেলে কারখানায় ঢুকে আবারও লুটপাট শুরু করে স্থানীয়রা। এরপর রাত ৯টার দিকে কারখানাটির ছয়তলা একটি ভবনে আগুন দেয়া হয়।
১ সেপ্টেম্বর বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কারখানার নিরাপত্তা কর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে কারখানাটির পোড়া ভবনটিতে ঢুকে পড়েন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। তারা ভবনটির তৃতীয় তলায় বেশকিছু মানুষের হাড় ও মাথার খুলি পান বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে তারা এসব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।