ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খানাখন্দে ভরা সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

আজিজুল বুলু, নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারী পৌসভার প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বহীনতায় শহরের ব্যস্ততম চৌরঙ্গী ট্রাফিক মোড়ের সড়কে খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। সংস্কার ও মেরামতে অভাবে সৃষ্ট খানাখন্দে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যানবাহন চাকরা। যে-কোন মহুর্তে প্রাণহানীকর দুর্ঘনা ঘটার আশঙ্কা করেছেন নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা।

নীলফামারী জেলা শহরের বুকচিরে নির্মিত সড়কের সাথে তেতুলিয়া-পঞ্চগড়-ডোমার-সৈয়দপুর-রংপুর ও দিনাজপুর বিশ্বরোড়ের সংযোগ রয়েছে।এই গুরুত্বপূর্ন সড়কের নীলফামারী জেলা শহরের চৌরঙ্গী ট্রাফিক মোড়টি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে।এ সড়ক মোড়ে পথচারী ও যানবাহনকারীরা সার্কিট হাউস ,ডিসি কার্যালয়, বিচার বিভাগের কোট-কাছারী, থানা,হাসপাতাল,কলেজ চলাচলে করতে হয়।

এই মোড়টি র খানাখন্দের ছবি ধারণ করার সময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাংলা টাইমসকে জানান, প্রায় ৬ মাস আগে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ পানি নিস্কাশনের জন্য সড়কের নিচ দিয়ে একটি ড্রেন নির্মানের কাজ শুরু করার সময় ভাঙ্গতে হয়েছিল সড়কটি। ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ করে চলে যায় কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে মোড়টি কেহাল দশা সংস্কার ও মেরামতে জন্য এগিয়ে আসেনি পৌরসভার প্রকৌশর বিভাগ। এর ফলে নিরাপদ সড়ক ব্যবহাররে অন্তরায় হয়ে দাঁঢ়িয়েছে সড়কে পথচারী ও যানবাহন চালকদের।

এ বিষয় নিয়ে প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চেম্বরের কয়েকবার ধর্না দিয়ে তার দেখা পাওযা যায়নি।এ নির্বাহী প্রকৌলীর খোঁজে আসা ধনীপাড়ার মোতারেব হোসেন জানান, আমি প্রায় একসপ্তাহ ধরে তাকে খুঁজে-খবর করে তাকে পাইনি।

তিনি মনের ক্ষোভে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ও পৗরসভাটি নানা অনিয়ম-আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের ফলে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ পৌরসভায় না আসায় এ অবস্থার সুষ্ঠি হয়েছে।

এ সময় কুখাপাড়ার ছালাম হোসেন জানান, আমি একসপ্তাহ ধরে ঘুরছি বাড়ীর সীমানা নির্ধারণ জঠিলতা নিয়ে। এর কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা চলতে পারেনা বলে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রদান উপদেশষ্ঠার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনারয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেশষ্ঠার কার্যকর ভুমিকার নেয়ার আহবান জানান তিনি।তার অনেকে এদাবী জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খানাখন্দে ভরা সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

নীলফামারী পৌসভার প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বহীনতায় শহরের ব্যস্ততম চৌরঙ্গী ট্রাফিক মোড়ের সড়কে খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। সংস্কার ও মেরামতে অভাবে সৃষ্ট খানাখন্দে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যানবাহন চাকরা। যে-কোন মহুর্তে প্রাণহানীকর দুর্ঘনা ঘটার আশঙ্কা করেছেন নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা।

নীলফামারী জেলা শহরের বুকচিরে নির্মিত সড়কের সাথে তেতুলিয়া-পঞ্চগড়-ডোমার-সৈয়দপুর-রংপুর ও দিনাজপুর বিশ্বরোড়ের সংযোগ রয়েছে।এই গুরুত্বপূর্ন সড়কের নীলফামারী জেলা শহরের চৌরঙ্গী ট্রাফিক মোড়টি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে।এ সড়ক মোড়ে পথচারী ও যানবাহনকারীরা সার্কিট হাউস ,ডিসি কার্যালয়, বিচার বিভাগের কোট-কাছারী, থানা,হাসপাতাল,কলেজ চলাচলে করতে হয়।

এই মোড়টি র খানাখন্দের ছবি ধারণ করার সময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাংলা টাইমসকে জানান, প্রায় ৬ মাস আগে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ পানি নিস্কাশনের জন্য সড়কের নিচ দিয়ে একটি ড্রেন নির্মানের কাজ শুরু করার সময় ভাঙ্গতে হয়েছিল সড়কটি। ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ করে চলে যায় কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে মোড়টি কেহাল দশা সংস্কার ও মেরামতে জন্য এগিয়ে আসেনি পৌরসভার প্রকৌশর বিভাগ। এর ফলে নিরাপদ সড়ক ব্যবহাররে অন্তরায় হয়ে দাঁঢ়িয়েছে সড়কে পথচারী ও যানবাহন চালকদের।

এ বিষয় নিয়ে প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চেম্বরের কয়েকবার ধর্না দিয়ে তার দেখা পাওযা যায়নি।এ নির্বাহী প্রকৌলীর খোঁজে আসা ধনীপাড়ার মোতারেব হোসেন জানান, আমি প্রায় একসপ্তাহ ধরে তাকে খুঁজে-খবর করে তাকে পাইনি।

তিনি মনের ক্ষোভে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ও পৗরসভাটি নানা অনিয়ম-আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের ফলে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ পৌরসভায় না আসায় এ অবস্থার সুষ্ঠি হয়েছে।

এ সময় কুখাপাড়ার ছালাম হোসেন জানান, আমি একসপ্তাহ ধরে ঘুরছি বাড়ীর সীমানা নির্ধারণ জঠিলতা নিয়ে। এর কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা চলতে পারেনা বলে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রদান উপদেশষ্ঠার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনারয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেশষ্ঠার কার্যকর ভুমিকার নেয়ার আহবান জানান তিনি।তার অনেকে এদাবী জানিয়েছেন।