ঢাকা ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে মতবিনিময়কালে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের

কোটা বিরোধী আান্দোলন ছিলো জনগনের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ

রংপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জামায়াত শিবিরের রাজনীতি প্রশাসনিক নির্দ্দেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননা। তিনি বলেন, এটা করা ঠিক হবেনা। ব্যাক্তিগত ভাবে তিনি বহু দলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। যদি তাদের ক্ষতিকারক মনে করা হয় জনগন তাদের বর্জন করবে এবং আস্তে আস্তে তারা জনগন থেকে হারিয়ে যাবে।

বুধবার (৩১ জুলাই) রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটাই হবে স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, তবে জোর করে কিছু করতে চাইলে জামায়াত শিবিরের যদি সাংগঠনিক কাঠামো থাকে তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে এতে করে দেশে অস্থিতিশীল অস্বাভাবিক রাজনীতির বীজ এখান থেকে বপন হতে পারে সেটা সামনের দিকে বাড়তে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

জিএম কাদের বলেন,কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের আগে পরে যতোবার বিএনপি আর জামায়াত শিবিরের কথা সরকারের বলেছে আমি বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং ঢাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কথা বলে যেটা বুঝতে পেরেছে সরকারের এই অভিযোগ দেশের সাধারণ মানুষ গ্রহন করেনি। এবারের আন্দোলন ছিলো জনগনের স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন। এই আন্দোলনে বিএনপি জামায়াত ও জাতীয় পার্টির কেউ কেউ থাকে তারা ব্যাক্তিগতভাবে মানুষ হিসেবে সেখানে ছিলো। তা ছাড়া আন্দোলনের ব্যাপারে বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা সরকার এখনো প্রমান করতে পারেনি। দেশের জনগন এসব আর গ্রহন করছেনা।

তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন এবার নির্বিচারে গণহত্যা করা হলো কেন? তারা যদি সত্যিকার ভাবে সন্ত্রাস দমন করতে চায় তাহলে তাদের চিহ্নিত কেন করা হলো না। এটা করলে প্রতিহতের প্রশ্ন আসে। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে বড় বড় ভবন থেকে সাধারন মানুষকে লক্ষ্য করে বেপরোয়া গুলি বর্ষন করা হলো শিশুরা , গৃহিনীরাও রেহাই পায়নি। আসলে সরকার ভিতীকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাদের মতামত চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশ এখনো উদ্ধার হয়নি এখনও সেই পরিস্থিতি চলছে। তিনি কোটা বিরোধী আন্দোলনে জনগন তাদের সন্তান স্বজন সকলে মিলে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। আমার জীবনে এরকম গণআন্দোলন আমি দেখিনি।

রংপুরের বীর সন্তান বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদকে পুলিশ নিষ্ঠুরভাবে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে তা অত্যান্ত দুৎখজনক। আমার জীবনে এমন গণআন্দোলন কখনো দেখিনি। শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী দাবিকে যৌক্তিক দাবি বলে উল্লেখ এই কোটা বাতিল করা হলেও আবার কোর্টের মাধ্যমে তা পুর্নবহাল করলো। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারলো সরকারের ইন্ধনে এটা হচ্ছে। সরকার আবার কোটা পুর্নবহাল করে নিজেদের দলীয় স্বার্থ ও ব্যাক্তিগত স্বার্থে লাভবান হবার জন্য করছে। ফলে ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো ন্যায্য দাবি দাওয়া দমানোর জন্য সরকার ও সরকারের অঙ্গ সংগঠন গুলো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে পুলিশের সহায়তায় তাদের উপর নির্যাতন শুরু করলো তখন ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। সেই প্রতিরোধ আন্দোলনে সাধারণ জনগন তাদের ছেলে মেয়ে স্বজনদের সবাইকে নিয়ে সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে মাঠে নেমেছিলো।

তিনি আরও বলেন, এবারের আন্দোলন ছিলো জনগনের সমর্থনপুষ্ঠ দাবি দাওয়া আদায়কে এগিয়ে নেবার আন্দোলন। এটা একটা অভূতপুর্ব অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। জীবনে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি কিন্তু এবারের আন্দোলন ছিলো সরকারের দমন পিড়িনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ। কারন জনগন নানানভাবে বঞ্চনা আর বৈষম্যের শিকার হচ্ছিলো। মানুষ নির্যাতন আর নিপিড়নের শিকার হচ্ছিলো, সবগুলো এক সাথে যুক্ত হয়ে সব শ্রেণী পেশার মানুষ মাঠে নেমে গিয়েছিলো ছাত্রদের সাথে। সরকার এটাকে বিভিন্ন ভাবে ভোঝানোর চেষ্টা করেছে যে একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠি এই কাজ করেছে। কিন্তু সরকারের এসব কথা জনগন প্রত্যাখান করেছে। তারা জনগনের কাছে এই আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আন্দোালন বললেও জনগন তাদের কথা বিশ্বাস করেনি। তারা জনগনকে বোঝাতে সম্পুর্ন ব্যার্থ হয়েছে। কারন জনগনের চোখের সামনে এসব ঘটনা ঘটেছে। সরকার তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনী ও সরকারী দলের লোকেরা হেলমেট পড়ে বিভিন্ন ভাবে মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সহযোগীতা করেছে এটা অত্যান্ত দুঃখজনক ঘটনা। তার পরেও এ ঘটনাকে বিভিন্ন ভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে সরকার।

জিএম কাদের বলেন, অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয় হলো সরকার এবং সরকারী দল তার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যাবহার করেছে। দেশের গর্ব প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যারা দেশকে রক্ষা করবে জনগনের অধিকার রক্ষা করবে সেখানে সরকার তাদের নিজেদের রক্ষার জন্য তাদের লেলিয়ে দিয়েচে। যেভাবে নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে হেলিকপ্টারের উপর থেকে গুলি বর্ষন করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে বিভিন্ন বহুতল ভবনও তারা ব্যাবহার করেছে।

তিনি প্রশ্ন করেন এখানে নির্বিচারে গণহত্যা করা হলো কেন? এর মাধ্যমে বিদেশে দেশের ভাবমুর্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমাদের সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েচে। দেশের ভাবমুর্তি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে।

জিএম কাদের বলেন, দেশের এই নাজুক পরিস্থিতিতে সকল রাজনৈতিক দল , সুশীল সমাজ সহ সকলকে নিয়ে আলোচনা করে কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সেভাবে দেখা দরকার বলে তিনি মনে বরেন। তা নহলে সামাজিক অস্থিরতা আরো বাড়বে সারা বিশ্বে আমরা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তকমা নিতে হবে।

এর আগে জিএম কাদের সার্কিট হাউজে এসে পৌছলে জেলা প্রশাসক মোবাশে^র হাসান পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহান তাকে স্বাগত জানান। এ ছাড়াও মহানগর জাপার সভাপতি রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারন সম্পাদক এস এম ইয়াসির সহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা কর্মী তাকে স্বাগত জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রংপুরে মতবিনিময়কালে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের

কোটা বিরোধী আান্দোলন ছিলো জনগনের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জামায়াত শিবিরের রাজনীতি প্রশাসনিক নির্দ্দেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননা। তিনি বলেন, এটা করা ঠিক হবেনা। ব্যাক্তিগত ভাবে তিনি বহু দলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। যদি তাদের ক্ষতিকারক মনে করা হয় জনগন তাদের বর্জন করবে এবং আস্তে আস্তে তারা জনগন থেকে হারিয়ে যাবে।

বুধবার (৩১ জুলাই) রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটাই হবে স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, তবে জোর করে কিছু করতে চাইলে জামায়াত শিবিরের যদি সাংগঠনিক কাঠামো থাকে তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে এতে করে দেশে অস্থিতিশীল অস্বাভাবিক রাজনীতির বীজ এখান থেকে বপন হতে পারে সেটা সামনের দিকে বাড়তে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

জিএম কাদের বলেন,কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের আগে পরে যতোবার বিএনপি আর জামায়াত শিবিরের কথা সরকারের বলেছে আমি বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং ঢাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কথা বলে যেটা বুঝতে পেরেছে সরকারের এই অভিযোগ দেশের সাধারণ মানুষ গ্রহন করেনি। এবারের আন্দোলন ছিলো জনগনের স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন। এই আন্দোলনে বিএনপি জামায়াত ও জাতীয় পার্টির কেউ কেউ থাকে তারা ব্যাক্তিগতভাবে মানুষ হিসেবে সেখানে ছিলো। তা ছাড়া আন্দোলনের ব্যাপারে বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা সরকার এখনো প্রমান করতে পারেনি। দেশের জনগন এসব আর গ্রহন করছেনা।

তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন এবার নির্বিচারে গণহত্যা করা হলো কেন? তারা যদি সত্যিকার ভাবে সন্ত্রাস দমন করতে চায় তাহলে তাদের চিহ্নিত কেন করা হলো না। এটা করলে প্রতিহতের প্রশ্ন আসে। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে বড় বড় ভবন থেকে সাধারন মানুষকে লক্ষ্য করে বেপরোয়া গুলি বর্ষন করা হলো শিশুরা , গৃহিনীরাও রেহাই পায়নি। আসলে সরকার ভিতীকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাদের মতামত চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশ এখনো উদ্ধার হয়নি এখনও সেই পরিস্থিতি চলছে। তিনি কোটা বিরোধী আন্দোলনে জনগন তাদের সন্তান স্বজন সকলে মিলে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। আমার জীবনে এরকম গণআন্দোলন আমি দেখিনি।

রংপুরের বীর সন্তান বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদকে পুলিশ নিষ্ঠুরভাবে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে তা অত্যান্ত দুৎখজনক। আমার জীবনে এমন গণআন্দোলন কখনো দেখিনি। শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী দাবিকে যৌক্তিক দাবি বলে উল্লেখ এই কোটা বাতিল করা হলেও আবার কোর্টের মাধ্যমে তা পুর্নবহাল করলো। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারলো সরকারের ইন্ধনে এটা হচ্ছে। সরকার আবার কোটা পুর্নবহাল করে নিজেদের দলীয় স্বার্থ ও ব্যাক্তিগত স্বার্থে লাভবান হবার জন্য করছে। ফলে ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো ন্যায্য দাবি দাওয়া দমানোর জন্য সরকার ও সরকারের অঙ্গ সংগঠন গুলো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে পুলিশের সহায়তায় তাদের উপর নির্যাতন শুরু করলো তখন ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। সেই প্রতিরোধ আন্দোলনে সাধারণ জনগন তাদের ছেলে মেয়ে স্বজনদের সবাইকে নিয়ে সরকারের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে মাঠে নেমেছিলো।

তিনি আরও বলেন, এবারের আন্দোলন ছিলো জনগনের সমর্থনপুষ্ঠ দাবি দাওয়া আদায়কে এগিয়ে নেবার আন্দোলন। এটা একটা অভূতপুর্ব অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। জীবনে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি কিন্তু এবারের আন্দোলন ছিলো সরকারের দমন পিড়িনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ। কারন জনগন নানানভাবে বঞ্চনা আর বৈষম্যের শিকার হচ্ছিলো। মানুষ নির্যাতন আর নিপিড়নের শিকার হচ্ছিলো, সবগুলো এক সাথে যুক্ত হয়ে সব শ্রেণী পেশার মানুষ মাঠে নেমে গিয়েছিলো ছাত্রদের সাথে। সরকার এটাকে বিভিন্ন ভাবে ভোঝানোর চেষ্টা করেছে যে একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠি এই কাজ করেছে। কিন্তু সরকারের এসব কথা জনগন প্রত্যাখান করেছে। তারা জনগনের কাছে এই আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আন্দোালন বললেও জনগন তাদের কথা বিশ্বাস করেনি। তারা জনগনকে বোঝাতে সম্পুর্ন ব্যার্থ হয়েছে। কারন জনগনের চোখের সামনে এসব ঘটনা ঘটেছে। সরকার তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনী ও সরকারী দলের লোকেরা হেলমেট পড়ে বিভিন্ন ভাবে মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সহযোগীতা করেছে এটা অত্যান্ত দুঃখজনক ঘটনা। তার পরেও এ ঘটনাকে বিভিন্ন ভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে সরকার।

জিএম কাদের বলেন, অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয় হলো সরকার এবং সরকারী দল তার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যাবহার করেছে। দেশের গর্ব প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যারা দেশকে রক্ষা করবে জনগনের অধিকার রক্ষা করবে সেখানে সরকার তাদের নিজেদের রক্ষার জন্য তাদের লেলিয়ে দিয়েচে। যেভাবে নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে হেলিকপ্টারের উপর থেকে গুলি বর্ষন করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে বিভিন্ন বহুতল ভবনও তারা ব্যাবহার করেছে।

তিনি প্রশ্ন করেন এখানে নির্বিচারে গণহত্যা করা হলো কেন? এর মাধ্যমে বিদেশে দেশের ভাবমুর্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমাদের সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েচে। দেশের ভাবমুর্তি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে।

জিএম কাদের বলেন, দেশের এই নাজুক পরিস্থিতিতে সকল রাজনৈতিক দল , সুশীল সমাজ সহ সকলকে নিয়ে আলোচনা করে কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সেভাবে দেখা দরকার বলে তিনি মনে বরেন। তা নহলে সামাজিক অস্থিরতা আরো বাড়বে সারা বিশ্বে আমরা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তকমা নিতে হবে।

এর আগে জিএম কাদের সার্কিট হাউজে এসে পৌছলে জেলা প্রশাসক মোবাশে^র হাসান পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহান তাকে স্বাগত জানান। এ ছাড়াও মহানগর জাপার সভাপতি রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারন সম্পাদক এস এম ইয়াসির সহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা কর্মী তাকে স্বাগত জানান।