ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কবরে’ থেকেও সমন্বয়কের মামলায় আসামি আ’ লীগের ৩ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর সরকার পতনের অনেক আগেই মারা গেছেন কুমিল্লার ৩ আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্তু কবরে থেকেও তারা হামলা চালান। এলাকা ভিত্তিক তালিকা করা গণহারে আসামির তালিকায় তারা কবরে থেকেও আসামি হয়ে যান। কিভাবে কবরে থেকেও গত ৪ আগস্ট (আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেরদিন) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন তিন আওয়ামী লীগ নেতা এমন খবর জানাজানির পর কুমিল্লায় বেশ তোলপাড় চলছে।

তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত করে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হবে। গত বুধবার ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে জেলার সদর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সমন্বয়ক মো. এমরান।

মামলায় বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলীর মনিপুর ও চাঙ্গিনি দক্ষিণ মোড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।

দায়েরকৃত এ মামলায় ২৭, ৩৩ ও ৫৫ নম্বর আসামি হিসেবে যে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁরা মৃত। এই তিন নেতা হলেন ২৭ নম্বর আসামি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার, ৩৩ নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মমিন এবং ৫৫ নম্বর আসামি সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওরফে ফরিদ। মৃত ব্যক্তিদেরকে আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

মৃত ব্যক্তিদের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামি হওয়া মৃত আসামিদের মধ্যে একজন মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাওড়াতলী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালের ১১ জুলাই তিনি মারা যান।

দায়ের করা মামলার ৩৩ নম্বর আসামী মো. আবদুল মমিন। তিনি গত ২৪ জুন ভোরে হাঁটতে বেরিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

এ বিষয়ে প্রয়াত আ.লীগ নেতা মমিনের ছেলে মো. সাঈফ উদ্দিন বলেন, আমার বাবা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। মামলার বিষয়টি জেনে অবাক হলাম। আমার বাবা তো গত জুনেই মারা গেছেন। তিনি কী করে ৪ আগস্টের হামলার ঘটনায় কবর থেকে অংশ নিলেন। এ কেমন এমন মিথ্যাচার! মৃত ব্যক্তির নামে কেন মামলা করা হলো।

মামলায় ৫৫ নম্বর আসামি করা আরেকজন ওয়াহিদুর রহমান ফরিদ। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে কিডনিজনিত সমস্যার কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান ফরিদের বড় ছেলে মো. ফরহাদ বলেন, আমার বাবা মারা গেছেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তিনি কিডনিজনিত সমস্যার কারণে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর এক বছর পরের ঘটনার মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যাচরের তো একটি লিমিট থাকে। এটা কেমন অবিচার? একজন মৃত মানুষ কী করে হামলায় অংশ নিতে পারে? আসামি হতে পারেন?

তবে মামলার বাদি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুবির সমন্বয়ক মো. এমরান বলেন, আমার জানামতে মামলার অভিযোগ এবং অভিযুক্তদের নাম ঠিক আছে। আসামিদের নাম শনাক্তে কোনো ভুল আছে কি না এটা শুরুতে হয়তো নিশ্চিত হতে পারিনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আবু রায়হান বলেন, এমরান আমাকে জিজ্ঞেস করে মামলা করতে গেছে। তবে কাকে আসামি করবে, এ নিয়ে কোনো যোগাযোগ বা সমন্বয় করেননি। অযথা কোনো মানুষকে হয়রানি করা অবশ্যই দুঃখজনক। মৃত মানুষকে আসামি করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মামলাটির সঠিক তদন্ত চাই।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করেন, শুধু তিন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাই নন, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত কয়েকজনকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। তিনি সঠিক তদন্ত দাবি করেন।

সদর দক্ষিণ মডেল থানা ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদি অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলার এফআইআর তো প্রাথমিক পদক্ষেপ। তদন্তে যদি মৃত কারও নাম পাওয়া যায়, তবে সেই নাম গুলি বাদ পড়বে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করব।

এর আগে গত ২ অক্টোবর রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলা, মারধর, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুবির সমন্বয়ক মো. এমরান। মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০-২শ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোটভাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারকে।

উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলো-কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ, সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন অপু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘কবরে’ থেকেও সমন্বয়কের মামলায় আসামি আ’ লীগের ৩ নেতা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর সরকার পতনের অনেক আগেই মারা গেছেন কুমিল্লার ৩ আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্তু কবরে থেকেও তারা হামলা চালান। এলাকা ভিত্তিক তালিকা করা গণহারে আসামির তালিকায় তারা কবরে থেকেও আসামি হয়ে যান। কিভাবে কবরে থেকেও গত ৪ আগস্ট (আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেরদিন) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন তিন আওয়ামী লীগ নেতা এমন খবর জানাজানির পর কুমিল্লায় বেশ তোলপাড় চলছে।

তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত করে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হবে। গত বুধবার ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে জেলার সদর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সমন্বয়ক মো. এমরান।

মামলায় বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলীর মনিপুর ও চাঙ্গিনি দক্ষিণ মোড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।

দায়েরকৃত এ মামলায় ২৭, ৩৩ ও ৫৫ নম্বর আসামি হিসেবে যে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁরা মৃত। এই তিন নেতা হলেন ২৭ নম্বর আসামি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার, ৩৩ নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মমিন এবং ৫৫ নম্বর আসামি সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওরফে ফরিদ। মৃত ব্যক্তিদেরকে আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

মৃত ব্যক্তিদের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামি হওয়া মৃত আসামিদের মধ্যে একজন মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাওড়াতলী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালের ১১ জুলাই তিনি মারা যান।

দায়ের করা মামলার ৩৩ নম্বর আসামী মো. আবদুল মমিন। তিনি গত ২৪ জুন ভোরে হাঁটতে বেরিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

এ বিষয়ে প্রয়াত আ.লীগ নেতা মমিনের ছেলে মো. সাঈফ উদ্দিন বলেন, আমার বাবা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। মামলার বিষয়টি জেনে অবাক হলাম। আমার বাবা তো গত জুনেই মারা গেছেন। তিনি কী করে ৪ আগস্টের হামলার ঘটনায় কবর থেকে অংশ নিলেন। এ কেমন এমন মিথ্যাচার! মৃত ব্যক্তির নামে কেন মামলা করা হলো।

মামলায় ৫৫ নম্বর আসামি করা আরেকজন ওয়াহিদুর রহমান ফরিদ। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে কিডনিজনিত সমস্যার কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান ফরিদের বড় ছেলে মো. ফরহাদ বলেন, আমার বাবা মারা গেছেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তিনি কিডনিজনিত সমস্যার কারণে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর এক বছর পরের ঘটনার মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যাচরের তো একটি লিমিট থাকে। এটা কেমন অবিচার? একজন মৃত মানুষ কী করে হামলায় অংশ নিতে পারে? আসামি হতে পারেন?

তবে মামলার বাদি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুবির সমন্বয়ক মো. এমরান বলেন, আমার জানামতে মামলার অভিযোগ এবং অভিযুক্তদের নাম ঠিক আছে। আসামিদের নাম শনাক্তে কোনো ভুল আছে কি না এটা শুরুতে হয়তো নিশ্চিত হতে পারিনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আবু রায়হান বলেন, এমরান আমাকে জিজ্ঞেস করে মামলা করতে গেছে। তবে কাকে আসামি করবে, এ নিয়ে কোনো যোগাযোগ বা সমন্বয় করেননি। অযথা কোনো মানুষকে হয়রানি করা অবশ্যই দুঃখজনক। মৃত মানুষকে আসামি করার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মামলাটির সঠিক তদন্ত চাই।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করেন, শুধু তিন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাই নন, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত কয়েকজনকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। তিনি সঠিক তদন্ত দাবি করেন।

সদর দক্ষিণ মডেল থানা ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদি অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলার এফআইআর তো প্রাথমিক পদক্ষেপ। তদন্তে যদি মৃত কারও নাম পাওয়া যায়, তবে সেই নাম গুলি বাদ পড়বে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করব।

এর আগে গত ২ অক্টোবর রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলা, মারধর, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুবির সমন্বয়ক মো. এমরান। মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০-২শ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোটভাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারকে।

উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলো-কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ, সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন অপু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।