ওপারে গোলাগুলি, ঝুঁকিতে টেকনাফ স্থলবন্দর
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীর ওপারে মিয়ানমারের লালদিয়া নিয়ন্ত্রণে তীব্র সংঘাত চলছে। উপজেলার জালিয়ারদিয়া নিকটবর্তী অবস্থিত লালদিয়া নামের চরটি নাফনদীস্থ মায়ানমার জলসীমানায়। ওই এলাকায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
এ গোলাগুলির ঘটনায় টেকনাফ স্থলবন্দরের একটি পণ্যবাহী ট্রাক ও স্থানীয় এক ব্যক্তির বসতঘরে লেগেছে গুলি। এতে টেকনাফ স্থলবন্দরসহ দমদমিয়া এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, লালদিয়া চরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরএসওকে হঠিয়ে আরাকান আর্মি চরটি নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এ নিয়ে গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গোলাগুলি হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় বুধবার আবারও সংঘাত শুরু হয়।
হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, গুলির শব্দে দমদমিয়াসহ বন্দর এলাকা কাঁপছে। ইতোমধ্যে সংঘাতে ছোড়া গুলি দমদমিয়ার আয়ুব নামের এক ব্যক্তির বসতঘরে এসে লেগেছে। বাড়িটির জানালা, ঘরের ভেতরে আলমারিতে গুলি লেগেছে। বন্দরেও কয়েকটি গুলি এসে পড়েছে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড টেকনাফের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরে কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। একপর্যায়ে কার্যালয়ের জানালায় এসে লাগে গুলি। এতে জানালা ভেঙে যায়।
লালদিয়া নামক স্থানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) মধ্যে এই গোলাগুলি বলে জানান, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজির আহমদ।
টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের জেরে ছোঁড়া কয়েকটি গুলি টেকনাফ স্থলবন্দরের ভবনে আঘাত হানে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।